Saturday, January 28

হোয়াইট হাউসে পৌঁছেছেন থেরেসা মে

হোয়াইট হাউসে পৌঁছেছেন থেরেসা মে
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে হোয়াইট হাউসে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনও বিদেশি সরকারপ্রধানের সঙ্গে এটাই হবে তার প্রথম বৈঠক। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা, ন্যাটো, রাশিয়া ও পারস্পরিক বাণিজ্যিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলবেন দুই নেতা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসনের অবসান চান যুক্তরাষ্ট্র সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকের পররাষ্ট্রনৈতিক সম্পর্ক চাইছেন। ‘বিশেষ সম্পর্ক’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আবারও বিশ্বে ইঙ্গ-মার্কিন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ট্রাম্পকে এমন বার্তাই দেবেন থেরেসা মে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে ফিলাডেলফিয়ায় রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যদের সামনে রাখা ভাষণে থেরেসা মে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে নিজের পার্থক্য স্পষ্ট করেছেন।

ব্রিটিশ-মার্কিন ‘বিশেষ সম্পর্কের’ কথা উল্লেখ করে মে বলেন, ‘আশা করি, বিশ্বে নতুন করে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র আর কখনও কোনও সার্বভৌম দেশে আগ্রাসন চালাবে না।’ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসনকে ‘ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতি’ উল্লেখ করে তাতে ফেরত না যাওয়ার আহ্বান জানান।

‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়’, বিশেষত সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ‘নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

থেরেসা মে বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, আমরা পূর্ববর্তী ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতিতে ফেরত যাচ্ছি। তবে আমরা বাস্তব হুমকির সম্মুখীন হয়েও তা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমাদের শক্তিশালী, স্মার্ট হতে হবে এবং লক্ষ্য স্থির রেখে এগোতে হবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থ-সম্পর্কিত বিষয়গুলো অবশ্যই সমাধান করতে হবে।’

মে বলেন, ‘পশ্চিমা মূল্যবোধের নতুন শত্রুদের’ উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে চীন ও ভারত পশ্চিমা অর্থনীতিকে ‘গ্রাস’ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন। মে আরও জানান, বিশ্বব্যাপী বন্ধু, মিত্র ও অংশীদারদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে ব্রিটেন আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

ফিলাডেলফিয়ায় থেরেসা মে-র ওই ভাষণকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যরা। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের আগ্রহকে পুনর্ব্যক্ত করছি।’

উল্লেখ্য, সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিরোধী ছিলেন। ব্রেক্সিটের বিপক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য সফরে প্রচারণাও চালিয়েছিলেন। অপরদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেক্সিটের সমর্থক এবং তিনি একাধিক বক্তব্যে ব্রিটেনের সঙ্গে পৃথক চুক্তি করতেও আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়