Saturday, January 7

কানাইঘাটে শীতের সবজির বাম্পার ফলন

সুজন চন্দ:
কানাইঘাট উপজেলার চরাঞ্চলে এবছর শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ করেছেন। প্রাকৃতিক আবহাওয়া ভাল থাকায় শীতকালিন বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ গত বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। শীত মৌসুমে যে সকল সবজি বাজারে চাহিদা রয়েছে, সে অনুযায়ী কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করেছেন। ফলে সবজির বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাধাঁকপি, টমেটো, বেগুন, শীম, বরবটি, ডাটা, মুলা, লাল শাক, পালং শাক, মিষ্টি লাউ সহ আরও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। এরমধ্যে ফুলকপি ও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে, প্রতিটি ফুলকপি পাইকারী ২৫/৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হলেও, তুলনামূলক দাম অনেকটা বেশি। বর্তমানে কৃষকের উৎপাদিত সবজি চাষের খরচ বাদ দিয়ে তাদের প্রায় দিগুন টাকা লাভ হচ্ছে। এলাকার কৃষকের উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়ায় তাদের মুখে আনন্দের হাঁসি ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে কানাইঘাটের শীতকালিন সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার কানাইঘাটে সুরমা নদীর চরে শীতকালীন সবজির বিশাল হাট বসে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন দূর দূরান্তে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে ন্যায্য মূল্যে শীতকালীন সবজি ক্রয় করে নিয়ে যান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুন্সী তোফায়েল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প জমির কৃষক ও প্রান্তিক চাষীরা সবজি চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এবার শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ২১০৫ হেক্টর জমিতে থাকার কথা হলেও, কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২৩৩৫ হেক্টর জমিতে। এতে করে কৃষকরা সবজি চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়