Thursday, January 19

জঙ্গীদের বহনে কারাগারে অত্যাধুনিক প্রিজন ভ্যান

জঙ্গীদের বহনে কারাগারে অত্যাধুনিক প্রিজন ভ্যান

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: কারাগারে বন্দিদের আনা নেওয়ার জন্য দুইটি ওয়েভ ক্যামেরা যুক্ত প্রিজন ভ্যান যুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রিজন ভ্যান দুইটির উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনা কামাল।

প্রায় এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রিজন ভ্যান দুইটি কেনা হয়েছে। জঙ্গী ছিনতাই প্রতিরোধ ও বন্দিদের আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কারা অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে এসে পৌঁছান। এ সময়ে কারারক্ষীদের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিজন ভ্যান দুইটির উদ্ধোধন করেন।

এ সময়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে প্রিজন ভ্যান দুইটি কেনা হয়েছে। জঙ্গী ও দুধর্ষ সন্ত্রাসীদের এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে আনা নেওয়ার জন্য এই ভ্যান দুইটি ব্যাবহৃত হবে। এই ভ্যান দুইটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা রয়েছে। চারটি ওয়েভ ক্যামেরা রয়েছে। যার মাধ্যমে কারা অধিদপ্তরে বসেই গাড়িতে থাকা বন্দিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যাবে। মন্ত্রী আরো বলেন, এই কার্যক্রম সফল হলে পরবর্তীতে আরো এ ধরনের প্রিজন ভ্যান কেনা হবে।

পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তিনি বলেন, ছয়মাস সময় লেগেছে এই প্রিজন ভ্যান দুইটি তৈরি করতে। ভ্যান দুইটি কেনার জন্য ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৮৬ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে আমরা অভিযোগ পাই যে অবৈধ সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে কারাগারে বন্দিরা মাদক নেওয়া, ফোনে কথা বলা সহ নানা ধরনের অবৈধ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোকেই মাথায় রেখে আমরা এই প্রিজন ভ্যানগুলো কিনেছি। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর যন্ত্রপাতি কেনার সংস্থার মাধ্যমেই প্রিজন ভ্যানগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়। পরে বাংলাদেশে নানা ধরনের ওয়েভ ক্যামেরা সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা আদালতের অধীনে পাঁচটি কারাগার রয়েছে। এই প্রিজন ভ্যানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুরের চারটি কারাগারে বন্দি আনা নেওয়া করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, ত্রিশালে জঙ্গী ছিনতাইয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য কারাগারে জঙ্গীদের বিভিন্ন সংগঠনের বন্দিদের আলাদা সেলে রাখা হয়। এবং তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান, ঢাকা বিভাগের উপ কারা মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান সহ কারা অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। 
সূত্র: বিডিলাইভ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়