Saturday, December 10

কানাইঘাট বাজারে দোকান কোটার অংশ পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন দরিদ্র হোসন আহমদ ও তার বোন আছিয়া বেগম


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উত্তর বাজারে মায়ের খরিদা অবস্থিত পৌনে ৩ শতক জমির উপর নির্মিত প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের দোকান কোটার অংশ স্থানীয় এলাকার মুরব্বী ও থানা পুলিশের সহায়তা পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন কানাইঘাট পৌরসভার নয়াতালুক গ্রামের হোসন আহমদ (৬৫) ও তার বোন আসিয়া বেগম (৫৬)। নয়াতালুক গ্রামের মৃত মুবশ্বির আলীর স্ত্রী মৃত সামছুন নেছা খরিদা সূত্রে কানাইঘাট উত্তর বাজারে পৌনে ৩ শতক জমি কিনেন। তিনি মারা যাওয়ার পর উক্ত জমির উপর দোকান কোটা নির্মাণ করে তার ছেলে স্থানীয় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মাসুক আহমদ ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছিলেন। সম্প্রতি বাজারের পৌনে ৩ শতক জমির ভাগ বাটোয়ারা করার সময় মাসুক আহমদ ও তার অপর ভাই রশিদ আহমদ, শফিক আহমদ দোকান কোটার অংশ পেলেও মায়ের খরিদা সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত থাকেন মাসুক আহমদের বড় ভাই দরিদ্র হোসন আহমদ ও বোন আছিয়া বেগম। রশিদ আহমদ ও শফিক আহমদ তাদের বড় ভাই হোসন আহমদ ও বোনের দোকান কোটার অংশ জোরপূর্বক ভাবে জবর দখলের পায়তারা করলে হোসন আহমদের বোন আছিয়া বেগম কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বীয়ানরা সামাজিক সালিশে বসে হোসন আহমদ ও আছিয়া বেগমের দোকানের অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অপর ভাইদের নির্দেশ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি। কাউন্সিলার মাসুক আহমদ তার বড় ভাই হোসন আহমদ ও বোন আছিয়া বেগমের দোকান কোটার অংশ দিতে রাজি হলে ভাই রশিদ আহমদ ও শফিক আহমদ দিতে রাজি হয়নি। এমতাবস্থায় স্থানীয় মুরব্বীয়ানরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ও মুরব্বীয়ানদের সহযোগিতায় হোসন আহমদ ও তার বোন আছিয়া বেগম মায়ের খরিদা পৌনে ৩ শতক ভূমির উপর নির্মিত দোকান কোটার অংশ ফিরে পান। বর্তমানে হোসন আহমদ দোকান কোটার অংশে মোদীর দোকান দিচ্ছেন। মায়ের সম্পত্তির অংশ ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা চোখের জল ফেলে হোসন আহমদ ও তার বোন আছিয়া বেগম বলেন, প্রশাসন ও এলাকার মুরব্বীয়ানদের সহযোগিতায় আমি আমার মায়ের অংশের উপর নির্মিত দোকান কোটা ফিরে পেয়েছি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়