Wednesday, October 26

কানাইঘাটে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন! ইঞ্জিন নৌকা জব্দ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট সুরমা নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে ৪ টি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ করা হয়েছে। কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শায়িকুল আলমের নেতৃত্বে সুরমা নদীর কানাইঘাট চরিপাড়ার লোভারমুখ নামক স্থান থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও শ্যালো মেশিনের সাহায্যে ইঞ্জিন নৌকা দিয়ে পাথর উত্তোলন ও লাইসেন্স বিহীন করাতকল বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী নদী ভাঙ্গন কবলিত চরিপাড়া লোভারমুখ নামক স্থান থেকে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার বরাবরে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ও উপজেলা ভিট কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে নির্বাহী কর্মকর্তা দেখতে পান একাধিক ইঞ্জিন চালিত নৌকা দ্বারা শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সুরমা নদীর লোভার মুখ ও চরিপাড়া এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশাপাশি ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে বালু পাইপ লাগিয়ে মজুদ করা হচ্ছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ইঞ্জিনসহ শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত ৪টি নৌকা জব্দ করেন নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের জন্য ইউপি সদস্য শাহিকুল আলমকে শ্বাষান এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরে আটককৃত ৪টি নৌকা থানার এ এসআই জিয়াউল হকের জিম্মায় কানাইঘাট খেওয়াঘাটে রাখা হয়। অভিযানের সময় ইউপি সদস্য শায়িকুল আলমের অবৈধ করাতকল এবং চরিপাড়া গ্রামের নুরুল হকের পুত্র আব্দুল ওয়াদুদের অবৈধ করাতকল নির্বাহী কর্মকর্তা সীল গালা করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শ্যালো মেশিনের সাহায্যে সুরমা নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনের সাথে ইউপি সদস্য চরিপাড়া গ্রামের শাহিকুল আলম জড়িত রয়েছেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে চরিপাড়া নামক স্থানে সুরমা নদীর পাশে অবৈধ ভাবে লাইসেন্স ছাড়াই করাতকল বসিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া জানিয়েছেন, অবৈধ ভাবে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত ৪টি ইঞ্জিন নৌকা জব্দ ও দু’টি অবৈধ করাতকল সীলগালা করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইউপি সদস্য শায়িকুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে বালু উত্তোলন করছেন তিনি, পাথর উত্তোলনের সাথে তিনি জড়িত নয়। অবৈধ ভাবে লাইসেন্স বিহীন করাতকল পরিচালনার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়