কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশনের কাজে চলছে রমরমা বাণিজ্য। কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার কানাইঘাট, গাছবাড়ী, বুরহান উদ্দিন সীমাবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সীম রেজিষ্ট্রেশনের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ টাকা, ৪০ টাকা, ৩০ টাকা, ২০ টাকা করে প্রতি জনের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই। সরকার বিনা ফিসে সীম রেজিষ্ট্রেশনের কথা বললেও এজেন্টরা ছলে বলে কৌশলে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। গাছবাড়ী বাজারে শরীফ উদ্দিন, অানোয়ার, ফয়ছল আহমদ, সাদেক অাহমদ, ইসলাম, লোকমান উদ্দিন, জাহিদা বেগম, ফাতেহা বেগম, আনোয়ারা বেগম, সহ অনেকেই ২০ টাকা করে দিয়েছেন বলে জানান। তবে গাছবাড়ী গ্রামীণফোন কাষ্টমার কেয়ার এর ফয়েজ অাহমদ রাসেল টাকা নেওয়া প্রসঙ্গ বলেন, আমরা কারো কাছ থেকে জোর করে বা দাবী করে টাকা নিচ্ছি না, তবে কেউ খুশি হয়ে দিলে সামান্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে এজেন্ট বাহার, ইব্রাহীম ও রাশেদ, জিলানী বলেন, কষ্ট করে কাজ করছি বিধায় গ্রাহকের কাছ থেকে কিছু টাকা নিচ্ছি।কানাইঘাট বাজারে সীম রেজিস্ট্রেশনকারী কয়েকটি এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় তারা নিজে টাকা দিয়ে সীম রেজিস্ট্রেশন সামগ্রী কিনছে।তাই ২০ টাকা ছাড়া সীম রেজিস্ট্রেশন করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে গ্রাহকদের।আর গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে সীম রেজিস্ট্রেশন করতে বাধ্য হচ্ছে।টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে গ্রামীণফোন কানাইঘাট এর ইনচার্য ফয়ছল আহমদ বলেন, প্রত্যেক এজেন্টকে কোন রকম টাকা না নিতে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা উপজেলায় মাইকিং করে সবাইকে জানিয়ে দিব সীম রেজিষ্ট্রেশনেন জন্য কোন টাকা না দিতে। সুপার ভাইজার জাকির বলেন, দু একদিনের মধ্যে গ্রামীণফোন এর নিজস্ব মানুষ গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিনা টাকায় সীম রেজিষ্ট্রেশনের কাজ করে দিবে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়