কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার আরেক আসামি চা বিক্রেতা দুলাল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া থেকে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে এ মামলায় চারজনকে ধরা হলো।
মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম ঘটনার পরই সৌদি আরবে পালিয়ে যান। সেখানে তাকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিশু রাজনকে সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও এলাকায় চোর অপবাদ দিয়ে গত বুধবার সকালে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর পর মাইক্রোবাসে করে লাশ গুমের চেষ্টাকালে মুহিত আলম (৩২) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হল— মুহিত আলমের ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫)।
এ ছাড়া তাদের আরেক সহযোগী ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার হয় চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে। তবে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি আলী হায়দার ওরফে আলী এখনো গ্রেফতার হয়নি।
পৈশাচিক ও নির্মম নির্যাতনে নিহত শেখ সামিউল আলম রাজন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাসচালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষে বাবার সঙ্গে পরিবারের হাল ধরে ১৩ বছরের শিশু রাজন। বুধবার ভোরে স্থানীয় টোকেরবাজার থেকে সবজি কিনে ভ্যানে করে বিক্রি করার জন্য বাসা থেকে বের হয় শিশুটি।
পরে কুমারগাঁও এলাকায় তাকে চোর অপবাদ দিয়ে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রেফতার আসামিরা।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়