মো: মাহতাব আহমদ(সেলিম)
:
সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওয়াতাধীন কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসে নতুন মিটার পেতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানী, বিড়ম্বনার শিকার ও উৎকোচ আদায়ের ঘটনায় ফুসে উঠেছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। মঙ্গলবার বিকেল অনুমান ৩টার দিকে দীর্ঘদিন ধরে মিটারের আবেদন করার পরও মিটার না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহক ও স্থানীয় লোকজন অফিসে এসে চড়াও হন। এ সময় তারা কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম (মোল্লা)’র অফিস কক্ষে উপস্থিত হয়ে অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ তোলে ধরেন তার কাছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যাবতীয় কাজ করার পরও বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক নতুন বিদ্যুৎ গ্রাহক মোটা অংকের টাকা না দেওয়ায় তাদের মিটার সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে ধরেন। এ জন্য অফিসের এজিএমকম মিনহাজ উদ্দিন শেখ ও ওয়্যারিং ইন্সপেক্টর জাকির আহমদকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজিএম নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, তিনি মাত্র ৩ মাস পূর্বে কানাইঘাটে যোগদান করেছেন। ইতিমধ্যে অফিসকে দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নতুন মিটার পেতে কোন ধরনের হয়রানীর স্বীকার হলে সরাসরি তার কাছে গ্রাহকদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি আরো জানান, একজন বিুদ্যৎ গ্রাহককে মিটার পেতে হলে সকল আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মাত্র ৭২০/- টাকা অফিসের নির্ধারিত ফরম পূরনের মাধ্যমে দাখিল করতে হয়। মিটার সংযোগ দেওয়ার নামে তার অফিসের লোকজন অথবা বহিরাগত কেউ যদি উৎকোচ চায় তাহলে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এজন্য সাংবাদিক সহ সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। অভিযোগে আরো জানা যায়, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মিটার সংযোগ দিতে অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারী, নন ইলেক্ট্রিশিয়ান ও দালাল চক্র নানা ভাবে গ্রাহকদের প্রতারিত করে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে মোট অংকের টাকা দীর্ঘদিন থেকে আদায় করে আসছে। এ ধরনের বহু অভিযোগ রয়েছে। মিটার সংযোগ দুর্নীতির সাথে অফিসের এজিএমকম মিনহাজ উদ্দিন শেখ, ওয়্যারিং ইন্সপেক্টর জাকির আহমদ ও এলাকা পরিচালক আলমগীর হোসেইন জড়িত রয়েছেন বলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানিয়েছেন। বাসা-বাড়ীতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রতিটি মিটারের অনুকূলে ৭২০টাকা আবেদন ফির কথা থাকলেও অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, নন ইলেক্ট্রিশিয়ান, দালাল চক্র প্রতিটি মিটারের অনুকূলে সংযোগ দেওয়ার জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের চাহিদা মতো উৎকোচ না দেওয়া হলে মাসের পর মাস বিদ্যুৎ গ্রাকদের মিটার আবেদন ফরম অফিসের ফাইলে চাপা পড়ে থাকে। আবার অসংখ্য আবেদনের ফরম ফাইল থেকে গায়েব হয়ে যায় এমনও অভিযোগ রয়েছে। গত ১ বছর ধরে বিদ্যুৎ অফিসে দর্না দিয়ে শুধু মাত্র মোটা অংকের উৎকোচ না দেওয়ায় মিটার আবেদন করার পরও নন্দিরাই গ্রামের শাহনাজ বেগম, নিজাম উদ্দিন, সড়কের বাজারের ব্যবসায়ী ডা. সাদিকুর রহমান, দর্পনগর গ্রামের আব্দুর রহিম, একই গ্রামের আব্দুল মন্নান, মহেষপুর গ্রামের রুবি বেগম মিটার পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ওয়্যারিং ইন্সপেক্টরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে বলেন, মিটার সংযোগ দেওয়ার নামে কারো কাছ থেকে টাকা নিলে তাদেরকে অফিসে নিয়ে আসার জন্য সাংবাদিকদের বলে ফোন কেটে দেন। এলাকা পরিচালক আলমগীর হোসেন ও এজিএমকম মিনহাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের মুঠো ফোনে পাওয়া যায় নি।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ বার্তা
প্রতিদিনের কানাইঘাট

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়