ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই মিথ্যাচার করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনে পরাজয় জেনেই খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন। তিনি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছেন। মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান।
আমু বলেন, উনি (খালেদা) নির্বাচনের আগে এক কথা বলেন, নির্বাচনের পরে আরেক কথা বলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন উনার প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। উনার দলীয় ব্যর্থতার কারণে প্রার্থী দিতে পারেননি। চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে প্রার্থী করতে পারেননি। আবদুল আউয়াল মিন্টু ছিলেন তার দলের প্রার্থী। কিন্তু তিনি কোনো কারণে প্রার্থী হতে পারেননি। তাঁর ছেলে না কে প্রার্থী হয়েছে। তাকে কেউ চেনে না।
মন্ত্রী বলেন, পেট্রলবোমার আন্দোলনে বিফল হয়ে নির্বাচনে এসেছেন। নির্বাচন বানচাল করে আবার কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় কিনা। এই দেশে উনি আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান।
তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে ভোটের আগে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন। উদর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।
বিএনপি চেয়ারসপারসনের উদ্দেশ্যে প্রবীণ এই নেতা বলেন, নিজেকে সংশোধন করুন। মিথ্যাচারের কারণে মানুষ আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি অভিযোগ তাদের আমলেই শুরু হয়েছে। গত তিন মাসে পেট্রলবোমায় নিহতদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানাননি। উনার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
আমু বলেন, খালেদা জিয়ার দলীয় নেতারা অভিযোগ তিনি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আতাঁত করে আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে ব্যর্থতা ও দেউলিয়াত্বের পর নিজের পদ টিকিয়ে রাখার জন্য উনি মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান খান, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আক্তারুজ্জামান, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, আবদুর রহমান প্রমুখ।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়