Tuesday, April 21

দেড় বছর পর শিশুর পেট থেকে বের হলো কাঠ পেন্সিল !


বাগাতিপাড়া (নাটোর) :: সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুর পেটে কাঠ পেন্সিল। সেই পেন্সিল দিয়ে আবার লেখাও যাচ্ছে। এমন খবরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উৎসুক জনতা শিশুটিকে এবং ওই কাঠ পেন্সিল দেখতে সকাল থেকেই শিশুর বাড়িতে ভীড় করছেন। শিশুটির নাম মেহেদী হাসান (১৩)। সে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ডুমরাই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে এবং মাধববাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। শিশুটির বড় ফুপু তহমিনা খাতুন ওই শিশুটির বরাত দিয়ে বলেন, বছর দেড়েক পুর্বে কৃমির কারনে চুলকাতে গিয়ে মেহেদী পায়ু পথে কাঠ পেন্সিল ঢুকিয়ে ফেলে। তবে বিষয়টি মেহেদী কাউকেই জানায়নি। এরপর থেকেই সে পেটে ব্যথা অনুভব করতো এবং চলা ফেরা করার সময় প্রচন্ড ব্যথা হতো। এমনকি মেহেদী এরকারনে বাঁকা হয়ে হাটতো। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের সাথে একাধিকবার পরামর্শ করলে ব্যথা নাশক ঔষুধ সেবনের পরামর্শ দিতেন। এছাড়াও আলট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দিলেও তা পরিবার থেকে করানো হয়নি বলেও তিনি জানান। পরে তিন মাস পুর্বে নাভীর পাশে ঘা নিয়ে নাটোরের দিঘাপতিয়া এলাকার হোমিও চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের নিকট যান। এরপর থেকেই তাঁর চিকিৎসাতেই ছিলো মেহেদী। রবিবার সকালে নাভীর পাশের ওই ঘা দিয়ে কাঠ পেন্সিল মাথা বেরিয়ে আসে। পরে পরিবারের লোকজন কলমটিকে টেনে বের করে। তহমিনা জানান, কলমটি ‘শীষ কলম’ এবং তা দিয়ে লেখা যাচ্ছে। খবরটি সকালেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা মেহেদীর বাড়িতে কলমটি দেখতে ভীড় জমান। দেড় বছর ধরে কলমটি শরীরের মধ্যে কিভাবে থাকতে পারে এমন বিষয়টি জানতে চাইলে নাটোর আধুনিক হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডি কে পোর্দ্দার বলেন, এমন ঘটনা ঘটতে পারে। পেটের কোন অংশে কলমটি আটকে থাকতে পারে এবং নড়াচড়া করার সময় কলমের নিবের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ওই অংশ দিয়ে কলমটি বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে। তবে শিশুটিকে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়