ঢাকা: দলীয় নেতাদের সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার টেলিফোনের গোপন কথোপকথন নিয়ে মন্ত্রিসভায় বেশ আলোচনা হয়েছে।
সোমবারের অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওই ফোনালাপ শোনানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য।
খালেদা জিয়া ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সারাদেশ থেকে জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ বিষয়েই তিনি টেলিফোনে আলোচনা করেছেন বলে জানান মন্ত্রিরা।
চার বছর আগে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশের সময় দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার টেলিফোন সংলাপের অডিও টেপ সম্প্রতি ইউটিউবে প্রচার হয়। যাতে তাকে নেতাদের নানা নির্দেশ দিতে শোনা যায়। বাংলা লিকস নামের একটি একাউন্ট থেকে আপলোড করা এসব কথোপকথন সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। খালেদার এসব নির্দেশ নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যেই-এমন কথা রয়েছে অডিও ফাইলগুলোর শিরোনামে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনার সময় সভাকক্ষে বসেই ফোনালাপের অডিওগুলো শুনেন প্রধানমন্ত্রী।”
২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে সারাদেশ থেকে জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছিল বিএনপি। অনুষ্ঠানস্থল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সকালে আগতদের পুলিশ লাঠিপেটা করে বের করে দিলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ বাঁধে এবং তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য জেলাগুলোতেও।ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণে একজন মারা যায়, পোড়ানো হয় কয়েকটি গাড়ি। সিলেটে বাসে আগুন দেওয়া হলে পুড়ে মারা যান এক যাত্রী।
বাংলা লিকস খালেদার যে পাঁচটি কথোপকথন প্রকাশ করেছে, তার চারটিতেই সমাবেশ শুরুর আগে কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথোপকথন শোনা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকে একজন মন্ত্রী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওইসব ফোনালাপ শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সত্যি সত্যিই তো উনি (খালেদা জিয়া) নাশকতার নির্দেশ দিয়েছেন।”
ওই মন্ত্রী বলেন, এরপর বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ফোনালাপে খালেদা জিয়া যাদের নাশকতার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
তবে এরপর প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আর কিছু বলেননি বলে জানান তিনি।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়