Sunday, December 21

ডা. মেহজাবিনের বাবার সংশয়


ঢাকা : ডা. শামারুখ মেহজাবিনের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তার বাবা ও গণপূর্ত বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত কমিটি চাপের মধ্যে রয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি। তাই এই ময়না তদন্তের প্রতিবেদন নিয়েও আমার মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সঠিকভাবে প্রদান ও মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা ও যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মেহজাবিনের। এ ঘটনায় নূরুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শামারুখ আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করায় আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শামারুখের লাশ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। সংবাদ সম্মেলনে শামারুখের বাবা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদের নেত্রী হাবিবা শেফা, নিহত শামারুখের শিক্ষক যশোর বিএএফ শাহীন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, আইডিইবি যশোর শাখার সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে ডা. শামারুখ মেহজাবিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শামারুখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বাসায় ডা. শামরুখ তাঁর শ্বশুর টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাব বসবাস করতেন। পরদিন, ১৪ নভেম্বর যশোরের কারবালা কবরস্থানে ডা. শামারুখের লাশ দাফন করা হয়। এরপর তার বাবার আবেদনে ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বিকাশ কুমার সাহা লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আদালত লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সিভিল সার্জনসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেন। এরপর লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ডা. শামারুখের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে শামারুখ আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল, যা শামারুখের বাবা প্রত্যাখান করেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়