Sunday, December 21

শতভাগ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব, জুলাই থেকে কার্যকর


ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামোর প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে পে-কমিশন। সচিবালয়ে রবিবার সকাল ৯টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন তুলে দেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। এতে সর্বনিম্ন বেতন আট হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছর ১জুলাই ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। কমিশনের চেয়ারম্যান ফরাসউদ্দিন প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর বলেন, এই কাঠামোয় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ গ্রেডে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। আর মাঝের গ্রেডগুলোতে বেতন বাড়বে বিভিন্ন পর্যায়ে। সেই সঙ্গে বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা ও আর্থিক সুবিধা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের ২০ গ্রেডের বেতন কাঠামোর বদলে প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে ১৬টি গ্রেডে বেতন বিন্যাসের প্রস্তাব করেছে কমিশন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বনিম্ন ৪,১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা ‘বেসিক’ ধরে বেতন পাচ্ছেন। নতুন বেতনকাঠামোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ রিপোর্টটি পেয়েছি। এটি পর্যবেক্ষণ করব। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর করা হবে। আগামী দিনের অর্থনীতি হবে আলাদা ধরনের অর্থনীতি। সেই অর্থনীতির জন্য একটি সেটিসফাইড (সন্তুষ্ট) প্রশাসন দরকার। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।’ আগের সরকারি বেতন স্কেলগুলো চার বছর মেয়াদের জন্য করা হলেও নতুন এই স্কেল হবে ছয় বছরের জন্য। বাবা-মাসহ ছয় সদস্যের পরিবার এবং দুই সন্তানের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বাবদ ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এবারের বেতন কমিশন তাদের সুপারিশ করেছে, যেখানে আগের কাঠামোতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা ধরা হয়েছিল ছয়জন। আগের বেতন কাঠামোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত বছরের ২৪ নভেম্বর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের এই বেতন ও চাকরি কমিশন গঠন করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ১৩ মাস পর তারা প্রতিবেদন দিলেন। সরকারি চাকরিজীবীরা বর্তমানে মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাচ্ছেন, যা ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়