Sunday, November 23

অস্থির শাবনূর!


বিনোদন ডেস্ক: কী দরকার ছিল জীবনটাকে এভাবে পরিচালিত করার? দীর্ঘ দিন অনিয়মিত থাকার ফল তো মানুষ পায়ই। সেটাও জানেন তিনি। তারপরও মনে যা আসে তা তো করবেনই। প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেক পানি ঘোলা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে অনীক মাহমুদের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বরে তিনি পুত্রসন্তানের মা হন। বর্তমানে দেশেই আছেন। বলা হচ্ছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের কথা। মানুষ নিজের পায়ে কুড়াল মারে। তিনি নাকি কুড়ালের মধ্যেই পা দিয়ে দিয়েছেন। ভালো অভিনয় জীবনের মাঝে নানা গুঞ্জন-গুজবকে সুযোগ দিয়েছেন। শাবনূরের প্রথম ছবি চাঁদনী রাতের নায়ক ছিল সাবি্বর। এ ছবিটি ব্যর্থ হয়। তিনি এরপর মেহেদি ও অমিত হাসানের সঙ্গে ছবি করেন। পরে চিত্রনায়ক সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে যেসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তার সবগুলোই ছিল ব্যবসায়িক মানদ-ে সফল। তাকে তখন বলা হতো নায়ক সালমান শাহ-নির্ভর নায়িকা। একক যোগ্যতায় কোনো ছবিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা তার নেই এবং অন্য নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেও তিনি কোনো সফলতা পাবেন না। সালমান শাহের হঠাৎ মৃত্যুর পর শাবনূর অনেকটা নায়কশূন্য হয়ে পড়েন। তিনি মিডিয়ায় বলেন, সালমানের অকালমৃত্যু গোটা চলচ্চিত্র শিল্পকে যেমন আঘাত করেছিল, তেমনি আমার ক্যারিয়ারও তছনছ করে দেয়। মানসিকভাবে আমিও ভেঙে পড়েছিলাম। এরপর নির্মাতারা ওমর সানী, আমিন খানের সঙ্গে তার জুটি বাঁধার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে তিনি দারুণ সফলতা অর্জন করেন। রিয়াজের পাশাপাশি তিনি অভিনেতা ফেরদৌসের সঙ্গেও সফল হন। এছাড়াও মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করে সফল হয়েছেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত বছরে দুইয়ের অধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তারপর বছরে একটির বেশি ছবিতে দেখা যায়নি। এ সময়ে অস্থিরতা ভর করেছে তার ওপর। ২০১০ সালে একসঙ্গে পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার পরের বছর থেকে আবার যে বই সেই পুস্তক। এত অনিয়মিত হওয়ার কারণ কী? সমালোচকরা বলেছেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি কোনো নজর নেই শাবনূরের। এতটা মুটিয়ে গেছেন যে, পর্দায় তাকে বাজে দেখায়। যেখানে মানুষ ইচ্ছা করলেই মোটা থেকে চিকন হতে পারে। সেখানে শাবনূরের কী সে ধরনের কোনো ইচ্ছাই নেই? এদিকে হাল সময়ের নায়িকারা বেশ চিকন ও আবেদনময়ী। শাবনূরও সে তুলনায় অত্যধিক স্বাস্থ্য অসচেতন। কারণ হিসেবে আরও বলা হয়েছে, নায়ক সঙ্কটে ভুগছেন শাবনূর। মান্না নেই, অমিত হাসান ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করছেন, শাকিব খান বর্তমানে অপু বিশ্বাসসহ আরও অনেক তরুণ নায়িকার সঙ্গে জুটিবদ্ধ হচ্ছেন এবং রিয়াজ, ফেরদৌস ও ওমর সানী অনিয়মিত। নতুন নায়কদের শাবনূরের তুলনায় বেশি ছোট দেখায়। যদিও এতটা বয়স হয়নি শাবনূরের, তারপরও নিজের অসচেতনতায় দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারকে ঝামেলায় ফেলে দিলেন তিনি। শাবনূর মিডিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি পরিচালনায় আসছেন। অনেক দিন ধরে শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত তাকে এরূপে দেখা যায়নি। ২০১৫ সালে পরিচালক শাবনূরের ছবির শুটিং শুরু হবে। এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি নিজেই। এক চলচ্চিত্র প্রযোজক বলেছেন, ক্যামেরার ভাষা, চিত্রনাট্য, শট ট্যাকিংসহ শুটিংয়ের খুঁটিনাটি বিষয় লক্ষ্য করেন শাবনূর। এ কারণে পরিচালনায় এলেই তিনি ভালো করবেন। নিজের পড়তি ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে শাবনূর যদি নিজেকে শুধরে নতুনভাবে শুরু করেন, তবে ভালোই হবে বলে ভাবছেন বোদ্ধারা। কারণ আর একটি ভুল ও অস্থিরতা তাকে অতল গহ্বরে নিয়ে যেতে পারে। লেখা : কৃষ্ণকান্ত চক্রবর্তী

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়