Sunday, November 23

কোন খাবারে কতটুকু ভেজাল


ডা. এম এম সরদার: খাদ্যে ভেজাল একটি জননিন্দিত ও বহুল প্রচারিত শব্দ। হাজারো ভেজালের মাঝে খাদ্যে ভেজাল নিয়ে ক্রেতাকে থাকতে হয় শঙ্কিত। বর্তমানে যেসব খাদ্যে ভেজাল হচ্ছে তার মধ্যে কিছু খাদ্যসামগ্রীর কথা তুলে ধরা হলো- আইসক্রিম : বর্তমানে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। আইসক্রিমের মাঝে যেসব চর্বি জাতীয় জিনিস মেশানোর সম্ভাবনা থাকে তা হলো কাপড় ধোয়ার পাউডার, সাবান, নাইট্রেট, হুইল এটিটেট, পেপারনি, বিউট্রাল ডি হাইড ইত্যাদি। এগুলো সাধারণত তাপমাত্রার মাধ্যমে বানানো হয়। মনে হয় এ অবস্থায় ভেজাল সম্ভব নয়। কিন্তু গবেষণা ও পরীক্ষায় গবেষকরা জেনেছেন এসব খাবারে ভাজাপূর্ব পামঅয়েল ব্যবহৃত হয়, খাদ্যে ভেজাল দেয়া হয়। উচ্চমাত্রার তাপ প্রয়োগের আগে এসবের ওপর একটি আবরণ পড়ে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ময়দা ও আটা : চাল ও ময়দার গুঁড়ার শ্বেতক্ষার নামে এক ধরনের ভেজাল দেয়া হয়। যার ফলে ময়দা থেকে পুষ্টি চলে যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে চাল ও গম যখন পেষা হয় তখনই ভেজাল থেকে সাবধান হতে হয়। সামগ্রিক খাবার : অনেক ক্ষেত্রে সামুদ্রিক মাছে মার্কারি মানবদেহে ক্ষতিকর ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এ মার্কারি দুইভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। প্রথমত, সরাসরি মাছ খেয়ে এবং দ্বিতীয়ত, পাখির মাধ্যমে যারা মাছ খায়। দুধ : দুধ একটি আদর্শ খাবার। কিন্তু এ দুধেই অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে একে ভেজাল করে ফেলেন। প্রথমত, দুধে পানি মেশানো হয়, যে পানি দূষিত হলে আরও মারাত্মক। এছাড়া শ্বেতসার, কস্টিক সোডা, চিনি, ইউরিয়া চুন এবং অ্যামোনিয়াম সালফেট মেশানো যা খুবই মারাত্মক। মধু : ইদানীং মৌমাছির চাক ও মৌমাছিসহ অনেকে মধু নিয়ে আসেন পাড়ায়-মহল্লায়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনির সিরা মিশিয়ে ও মধুর কালার করে মধু বিক্রি করেন। যে রঙটি দিয়ে কালার করেন তা মারাত্মক। অলিভ তেল : আসল অলিভ তেল শরীরের চামড়ার জন্য এক মহৌষধ। কিন্তু এখানেও ভেজাল। সাধারণত খনিজ তেল ও অন্যান্য সস্তা তেল মিশিয়ে ভেজাল করা করা হয়। কমলার জুস, আমের জুস : একটি সমীক্ষা ও টিভির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ কমলার জুস ও আমের জুস তৈরি করা হয় তার এক আনা আমও বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না ও বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় না। অনেক ক্ষেত্রে পিজারভেটিব ও ফ্রেবার কিনে এ জুস তৈরি করা হয়, যা শরীরের জন্য মারাত্মক। তাই ফরমালিনমুক্ত আস্ত আম খান। পারলে জুস বর্জন করুন। ক্যান্সার চিকিৎসক সরদার হোমিও হল, গ্রিন রোড, ঢাকা ০১৬৮৪০৯৬৪৫৫

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়