কানিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে, পাইলট হবে। তারাই দেশ চালাবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শেখ রাসেলের ৫১তম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। বিশ্বের এক নম্বর স্থানে তারা যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা ছেলে মেয়েদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। ছেলে মেয়েদের বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পরীক্ষায় বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে আনছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শেখানোর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল, দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে সে ধারা বন্ধ করেছি। এখন শিশু-কিশোররা সঠিক ইতিহাস শিখছে। তাদেরকে বড় মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সব উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছি।
একদিন তোমরাই দেশের নেতৃত্ব দেবে উল্লেখ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যোগ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী আলোচনা সভা শেষে কৃতী ছাত্র-ছাত্রী এবং দাবা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে বাবার মরদেহের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিদেশে ছিলাম। একবার ভেবেছিলাম, রাসেলকেও নিয়ে যাই। কিন্তু আব্বা-আম্মা তাকে ছাড়তে চাননি। রাসেলকে নিয়ে গেলে আজকে সে বেঁচে থাকতো ও তার বয়স ৫০ বছর হতো বলেও আক্ষেপ করেন শেখ হাসিনা।
বারট্রান্ড রাসেলের নামে মা তার ছোট ভাইয়ের নাম শেখ রাসেল রাখেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাট্রান্ড রাসেলের ভক্ত ছিলেন। তার বইয়ের অনুবাদ বাবা মাকে পড়ে শোনাতেন। এ অনুপ্রেরণা থেকে মা তার ছোট সন্তানের নাম রাসেল রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পরিবারকে হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়া আর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাকে ক্ষমতার লোভে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবারের দোষ কি ছিল? ছোট্ট শিশু রাসেলের কি দোষ ছিল?
আমরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করে দেশকে এগিয়ে নিয়েছি। নারী-শিশু হত্যার বিচার করেছি। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আর কোনো দিন যেন ঘটতে না পারে সেক্ষেত্রে এ বিচার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি রাজনৈতিক কারণে বার বার জেল খেটেছেন, আর আমরা ভাই-বোনেরা পিতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়েছি। বিশেষ করে ছোট্ট শেখ রাসেল বার বার আব্বাকে খুঁজতো। জেলখানায় মাসহ আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ছোট্ট শিশুটিকে কষ্ট পেতে দেখেছি।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়