মাওলা বকস, কয়রা (খুলনা): সহায় সম্বলহীন মানুষের বেঁচে থাকা যে কত কঠিন তা সুন্দরবন সংলগ্ন অসহায় মহিলাদের দেখলে বোঝা যায়। নারী মাতা, নারী ভগ্নী, নারী মেয়ে যে কারনে নি:সন্দেহে সমগ্র নারী কুল মানুষের শ্রদ্ধার পাত্র।
কয়রার ৭ ইউনিয়নের ৩০ ভাগ মহিলা জীবিকার তাড়নায় সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদীতে বাগদা রেণু পোনা আহরন করে জীবিকা নির্রাহ করে। ওই সব মহিলা কেউ কেউ স্বামী পরিতক্তা,যৌতুকের দ্বায়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পিতার ঘওে অবস্তান। আবার অনেকের স্বামী মারা যাওয়া পর ২/৩টা ছেলে/মেয়ে নিয়ে পিতার বাড়ীতে অবস্তান করে। দরিদ্র পিতা মাতার অভাবের সংসার লাঘব করার জন্য জীবনের ঝুকিনিয়ে বনের হিং¯্র জীবযন্তুও ভয় উপেক্খা করে বাগদা রেনু পোণা ধরে গরিব পিতার সংসারে হাল ধরতে বাধ্য হয়। অই সব মহিলারা কেউ কেউ আবার বিবিন্ন বেসরকারী সংস্হায় অল্প দামে শ্রমবিক্রি করে সন্তান পড়ালেখা সেখাবার জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাচেছ।
কথা হয় দ: বেদ কাশী ইউনিযনের মমেনা বেগম ৩০ এর সাথে, স্বামী পরিত্যক্তা মমেনা ১৫ বসর আগে বাপের বাড়ীতে বসবাস করে। বড় মেয়ে আকলিমা ১০ ছেলে সহিদুল ৭ স্বামী ২য়বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করে। মমেনার পিতা ইমান আলী পাউবোর বেড়ী বাধের পার্শে দোচলা ঘরে কোন মতে বসবাস করে। কথা হয জোড়শিং গ্রামের সুন্দরী রানী ৪০ ,স্বামী হরপ্রসাদ ,স্বরস্বতী ৩০ ,সুনিতা২৪ মালতি২০ তারা সবাই রেনু পোনা আহারন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সরেজমিনে ঘুরে প্রায় ৫হাজারের বেশী দরিদ্র মহিলার সংখ্যা দেখা গেছে। আইলা, সিডরে ক্ষতি গ্রস্ত পরিবারের ্ওই সব ছিন্ন মুল পরিবেিরর অসহায় নারীরা বিকল্প ব্যাবস্তা হিসাবে সুন্দর বনের নদ-নদীতে রেণু পোনা সংগ্রহ করে সংসার নির্বাহ করতে হয়। জীবিকার তাগিদে এরা বনের হিংস্্র জীব যন্তুর করেনা। এমনকি বনদস্যুদের ভয় উপেক্ষা করে জীবন সংগ্রমে টিকে আছে।
কথা হয় মহারাজ পুর ইউনিয়নের মটবাড়ী গ্রামের লক্ষী রাণীর সাথে, সে বলে,এলাকার চিংড়ী ঘের গুলিতে ব্যপক হারে ভইরাস রোগ দেখা দেয়ায় কোন ঘের মালিক তাদের রাস্তা মেরামতের কাজ বা শেলা(শেওলা) পরিস্কার কাজে লাগাচেছ না, বেকার থেকে উপোষ থাকার চেয়ে বনের ভেতরের খালে রেণু পোনা ধরতে যাই। দু’মাস আগে গড়ীয়া বাড়ী গ্রামের সন্ধ্যা রাণী সহ ১০ মহিলাকে বন দস্যুরা আটকিয়ে রেখেছিল তোমাদের যদি বনের ভেতর ধরে রাখে ? তার উত্তরে পাশে তাকা মিনতি বালা মন্ডল বলে, অভাবের কথা শুনতে পেরে ডাকাতরা তাদেকে ছেড়ে দিয়েছিল। দেখুন অভাবের সংসারে খিধের জ্বালায় ওই সব ভয় ভীতি থাকেনা।ঝীবন বাচানোর তাগিদে যত বাধা আসুক সকল ভয়ভীতি ক্ষুধার কাছে হার মানে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়