কানিউজ ডেস্ক:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশ জুড়ে চলছে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। এর মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা সামান্য পুঁজিতে অধিক মুনাফার আশায় অল্পদিনেই কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করে থাকেন। বিভিন্ন হরমোন ব্যবহার করা এসব গরু যেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি এ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধী অন্যান্য পশুর মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে।
গরু মোটাতাজাকরণে কৃত্রিম উপায়:প্রথমে একটি প্রাপ্তবয়স্ক গরুকে মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর কৃমিনাশক রেনাডেক্স, এলটিবেট, অ্যান্টিওয়ার্ম জাতীয় ওষুধ থেকে যে কোনো একটি পরিমিত মাত্রায় খাওয়ানো হয়। এরপর ৭ দিন বিশ্রাম। বিরতির পর এসোল্ট, বিটাফস, ফক্সবেট, মেটাফক্স, ক্যাটাসল্ট ও বিউটাফস জাতীয় ওষুধের যে কোনো একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। এতে গরুটি মোটাতাজার জন্য প্রাথমিকভাবে তৈরি হয়ে উঠে।
এর ৭ দিন পর পর মাংসপেশীতে এসব ইনজেকশনের (এসোল্ট/ক্যাটাসল্ট) যে কোনো একটি ২৮ দিন প্রয়োগ করা হয়। এর সঙ্গে ভিটামিন এডিই ইনজেকশনও প্রয়োগ করা হয়। ফলে পশুটি ধীরে ধীরে মোটাতাজা হয়ে উঠে।
২৮ দিন পর এমোভিট-জি, ক্যালফসটনিক এ জাতীয় পাউডার এবং ভিটামিন ট্যাবলেট এনোরা, এনোরেক্সন ও হজমবেটের যে কোনো একটি দৈনিক ২টি করে খাওয়ানো হয়। তিন মাসে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকার মতো প্রতিটি গরুর পেছনে খরচ হয়ে থাকে। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মাংস বৃদ্ধি পায়। এভাবে সময় নিয়ে গরু মোটাতাজা করা হলে কোনো সমস্যা হয় না।
তবে অন্য উপায়ে যেসব গরু মোটাতাজা করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু কিছু অদক্ষ পল্লী চিকিৎসক মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহার করেন। এতে অনেক সময় ঘটে বিপত্তি। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধে গরু মারাও যেতে পারে।
২৮ দিনেই মোটাতাজা:
কোরবানিকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজা করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা তিন মাস নয় মাত্র ২৮ দিন আগ থেকেই প্রস্তুতি নেয়। যা পশু ও সেটির মাংস যারা খাবে তাদের জন্য চরম ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত মুনাফার আশায় স্বল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে স্টেরয়েড, কোর্টিসল, ডেক্রামিথাসন, হাইড্রোকর্টিসন, বিটামিথাসন ও প্রেডনিসলনের মতো মারাত্মক হরমোন ব্যবহার করা হয় গুরু মোটাতাজা করতে। এসব ওষুধ এতোই বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয় এতে মাত্র চার সপ্তাহ বা ২৮ দিনেই গরু মোটাতাজা হয়ে উঠে। কিন্তু এসব গরু মোটা হয়ে উঠার কয়েক দিনের মধ্যে জবাই না করলে এমনিতেই মারা যায়।
খবর বিভাগঃ
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়