কানিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসী মামলায় ওসামা বিন লাদেনের জামাতা সুলাইমান আবু গাইথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর গাইথ আল-কায়েদার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাদেনের বড় মেয়ে ফাতিমার স্বামী।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের একটি আদালত গাইথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত বছর জর্ডানে গ্রেফতার হন কুয়েতের নাগরিক সুলাইমান আবু গাইথ। পরে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়।
আল-কায়েদাকে সহায়তা ও আমেরিকানদের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত মার্চে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
গাইথকে উদ্দেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ লিউইস ক্যাপলান বলেন, “আমেরিকানদের হত্যা করার আল-কায়েদার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনি যে কোনো কিছু করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়েছে।”
আদালতে দেখানো একটি ভিডিওতে আবু গাইথকে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘বিমানের ঝড়’ এখনো শেষ হয়নি।
আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আবু গাইথ বলেন, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুসলামানদের উৎসাহ যোগানোর জন্য একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
নাইন/ইলেভেন হামলার রাতেই ওসামা বিন লাদেন তাকে আল-কায়েদার মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করতে বলেন বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন আবু গাইথ।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বিমান ছিনতাই করে। দুটি বিমান নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত হানে, যা টুইন টাওয়ার হিসেবে পরিচিত ছিল। তৃতীয়টি আঘাত হানে ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে। চতুর্থ বিমানটি পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার একটি খোলা মাঠে ভূপাতিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে একযোগে চালানো চারটি আত্মঘাতী বিমান হামলায় মারা যায় অন্তত তিন হাজার মানুষ। এই হামলার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদা।
২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যরা।সূত্র: বিবিসি
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়