জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের করিডোরে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষক ফোরামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকরা।
এদিকে একই দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন অব্যাহত রয়েছে।
সর্বাতœক ধর্মঘটে জরুরী সেবাগুলো ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষা, প্রশাসনিক কর্মকা- পরিবহনসহ সকল প্রকার কর্মকা- বন্ধ থাকায় আবারো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন বিভাগের চলমান বার্ষিক পরীক্ষা ও বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, প্রশাসনিক কাজ ও পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ, আন্দোলনকারী দুই অসুস্থ শিক্ষককে অ্যাম্বুলেন্স না দেয়া, ২২ অক্টেবরে জাহানারা ইমাম হল ও আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যাক্ষের অব্যাহতি প্রত্যাহার করাসহ কয়েকটি অভিযোগে সাধারণ শিক্ষক ফোরামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকরা রোববার রাত ১০ টায় উপাচার্যের বাস ভবনে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা এসবের কারণ জানতে চাইলে উপাচার্য শিক্ষকদের প্রশ্নের কোন জবাব না দিযে বাসভবনের ভিতরে চলে যায়। এরপর রাত ১২ টায় শিক্ষক ফোরাম উপাচার্যের বাস ভবনের ভিতরে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে, প্রশাসনিক কাজ ও পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি জরুরি সভা সোমবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় উদ্ভ’ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীিসহ সকলকে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা। এরপর দুপুর একটায় শিক্ষক সমিতি একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, উপাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তার কোন মায়া মমতা নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে উপাচার্যের প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম দুপুর ২ টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা উপাচার্য়ের বাসভবনের করিডোরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবে। এসময় উপাচার্যের বাসভবনে প্রশাসনের কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা এক প্রকার অবরুদ্ধই বলা যাবে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
এদিকে গতকাল রাত দশটায় হরতালের সমর্থনে ধামরাই-গুলিস্তান যাত্রীবাহী বাসে অগ্নি সংযোগ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের সাইফুল ও রাজের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।----ডিনিউজ
এদিকে একই দাবিতে তৃতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন অব্যাহত রয়েছে।
সর্বাতœক ধর্মঘটে জরুরী সেবাগুলো ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষা, প্রশাসনিক কর্মকা- পরিবহনসহ সকল প্রকার কর্মকা- বন্ধ থাকায় আবারো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন বিভাগের চলমান বার্ষিক পরীক্ষা ও বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা যায়, প্রশাসনিক কাজ ও পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ, আন্দোলনকারী দুই অসুস্থ শিক্ষককে অ্যাম্বুলেন্স না দেয়া, ২২ অক্টেবরে জাহানারা ইমাম হল ও আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যাক্ষের অব্যাহতি প্রত্যাহার করাসহ কয়েকটি অভিযোগে সাধারণ শিক্ষক ফোরামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকরা রোববার রাত ১০ টায় উপাচার্যের বাস ভবনে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা এসবের কারণ জানতে চাইলে উপাচার্য শিক্ষকদের প্রশ্নের কোন জবাব না দিযে বাসভবনের ভিতরে চলে যায়। এরপর রাত ১২ টায় শিক্ষক ফোরাম উপাচার্যের বাস ভবনের ভিতরে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে, প্রশাসনিক কাজ ও পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির একটি জরুরি সভা সোমবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় উদ্ভ’ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীিসহ সকলকে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা। এরপর দুপুর একটায় শিক্ষক সমিতি একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, উপাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তার কোন মায়া মমতা নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে উপাচার্যের প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম দুপুর ২ টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষকরা উপাচার্য়ের বাসভবনের করিডোরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করবে। এসময় উপাচার্যের বাসভবনে প্রশাসনের কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা এক প্রকার অবরুদ্ধই বলা যাবে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
এদিকে গতকাল রাত দশটায় হরতালের সমর্থনে ধামরাই-গুলিস্তান যাত্রীবাহী বাসে অগ্নি সংযোগ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের সাইফুল ও রাজের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।----ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
শিক্ষাঙ্গন
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়