কলাপাড়া(পটুয়াখালী): কলাপাড়ার মৎস বন্দর আলীপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর জখম হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে রাত ৯ পর্যন্ত এ সংঘর্ষের সময় হামলা পাল্টা হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে পুরা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ ও বি এন পি সমর্থীত প্রায় অর্ধশত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করেছে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একে অপরকে দায়ী করছে। র্যাব ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিরাজুল শিকদার(৪৮),খোকন (২০), ফেরদৌস মীর (২০),ইয়াকুব ফরাজী (১৯), সোহেল মোল্লা (২৪) কে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা আতংকে অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রেখেছে। বর্তমানে মৎস বন্দর আলীপুরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় সমুদ্র বন্দর “পায়রা” মন্ত্রীসভায় অনুমোদন হওয়ার খবর শোনার পর পরই সোমবার শেষ বিকেলের স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মৎস বন্দর আলীপুরে আনন্দ মিছিল বের করেন। এ মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বিএনপি অফিসের সামনে আসার সাথে সাথেই বিএনপি অফিসের ছাদ থেকে ওই মিছিলে আচমকা ইট পাটকেল এবং বোতল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় গ্রুপ মারমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা শেরএ আলম (৪৫), লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলম হাওলাদার (৪৫), মানবাধিকার কর্মী দুলাল মুসুল্লী (৪৩) ও যুবলীগ নেতা মো. নজরুল (৩৫), মো. আল-আমিন (২৩), মো. ছোটন (২৫), মো. জসীম (২১), মো. আল-আমিন (২৫)সহ উভয় গ্রুপের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এসময় কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল ও এএস আই কবির আহত হয়। আওয়ামীলীগ নেতাদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের অবস্থায় সংকটপন্ন হওয়ায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। পুলিশসহ বিএনপির আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, মন্ত্রীসভায় তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের অনুমোদন হওয়ার খবর শোনার পর পর ঘটনার দিন শেষ বিকালে সর্বস্তরের জনগন আনন্দ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিএনপি অফিস অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ছাদ থেকে মিছিলের উপর আচমকা ইট ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েক জন নেতাকর্মীরা আহত হয়।
অপরদিকে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লী জানান, অফিসে দলীয় সভা চলছিল। এসময় মিছিলকারীরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনার জের ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থাল থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার কার হয়েছে। তবে অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।--ডিনিউজ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়