মিরসরাই(চট্টগ্রাম): নামেই মিরসরাই পৌরসভা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো নাগরিকদের মনে থাকলেও ভুলে গেছেন জনপ্রতিনিধিরা। আষাঢ়ের মুষলধারে বৃষ্টি এখনো শুরু হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কারণে চরম দূর্ভোগ নেমে এসেছে মিরসরাই পৌরবাসীদের জীবনে। পৌরবাসীর কপালে উন্নয়ন না জুটলেও জনপ্রতিনিধিরা ব্যস্ত নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে। ভোটাররা ভাবছেন পৌরবাসীকে অবমূল্যায়নের মাশুল সুদে আসলে দিতে হবে ভোটের সময় ব্যালটের মাধ্যমে। পৌরসভায় পানি নিস্কাশনের সুষ্ঠ কোন ব্যবস্থা, নেই পরিকল্পিত ডাস্টবিন, রাস্তায় ষ্টিট লাইট থাকলেও অধিকাংশ অকেজো। সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ফলে স্থানীয় জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে দুর্গন্ধ ও ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানিতে অনেকেই চর্ম এলার্জিসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন দিন উন্নয়ন বঞ্চিত পৌরবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে।
জানা গেছে, ২০০১ সালের ১২ এপ্রিল মিরসরাই সদর ইউনিয়ন ভেঙ্গে মিরসরাই পৌরসভা গঠণ করা হয়। ২০০২ সালে এখানে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সদর এলাকা ৫ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের অর্šÍভূক্ত। ইউনিয়ন থাকাকালীন এটি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছিলো। আর এখানে ১৯৯৬ সালে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আব্দুল কাইয়ুম। পরবর্তীতে পৌরসভা গঠণের পর ২০০২ সালে এবং ২০১১ সালে কমিশনার নির্বাচিত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ না করায় পৌর এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা না করায় ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে দুর্গন্ধের মধ্যে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে পৌরবাসী বারবার স্থানীয় কমিশনার আব্দুল কাইয়ুমের কাছে প্রতিকার চেয়েও সুফল পায়নি। তবে তিনি ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন সফল জনপ্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সরেজমিনে উপজেলা সদরের এস এম স্কুল আন্ত:সড়ক, কলেজ রোড, কোর্ট রোডসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এ জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে মিরসরাই ডিগ্রী কলেজ, এস এম মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মিরসরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লতিফীয়া কামিল মাদ্রাসা, মারুফ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে স্কুল ও কলেজে যাতায়াত করতে হয়। পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা মোটেই উন্নত নয়। যেগুলো আছে তাতে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশন না হয়ে আরো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর ভবনের একশ গজ উত্তরে এস এম স্কুল আন্ত:সড়কে পানি জমে থাকে। পানি সরবরাহের এখানে সুষ্ঠু কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ২-৩ দিন পর্যন্ত পানি জমে থাকে। একই অবস্থা অন্য এলাকায়ও। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এ সড়কে চলাচলকারী ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। মিরসরাই এস এম মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সীমা ও ইসরাত জানান, বৃষ্টি হলে হাঁটু পরিমান পানি পাড়ি দিয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি মিললে পৌরবাসী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর বাজারে কোর্ট রোড, কলেজ রোডে নির্মাণকৃত ড্রেনে পানি অপসারন না হওয়ায় ক্রমেই পৌরবাসীকে জনদুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন, বাড়ি, দোকানঘর ও রাস্তা নির্মানের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কারণে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন পৌর এলাকায় বাস করেও পুরো বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়।
পৌর বাজারের ব্যবসায়ী ইফতেখার হোসেন পাবেল জানান, সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় ক্রেতাদের আসতে সমস্যা হয়। পৌর সদরে জলাবদ্ধতা পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মিরসরাই পৌর মেয়র এম শাহজাহান বলেন, পানি প্রবাহে কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার ফলে এমনটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।(ডিনিউজ)
জানা গেছে, ২০০১ সালের ১২ এপ্রিল মিরসরাই সদর ইউনিয়ন ভেঙ্গে মিরসরাই পৌরসভা গঠণ করা হয়। ২০০২ সালে এখানে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সদর এলাকা ৫ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের অর্šÍভূক্ত। ইউনিয়ন থাকাকালীন এটি ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছিলো। আর এখানে ১৯৯৬ সালে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আব্দুল কাইয়ুম। পরবর্তীতে পৌরসভা গঠণের পর ২০০২ সালে এবং ২০১১ সালে কমিশনার নির্বাচিত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ না করায় পৌর এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা না করায় ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে দুর্গন্ধের মধ্যে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে পৌরবাসী বারবার স্থানীয় কমিশনার আব্দুল কাইয়ুমের কাছে প্রতিকার চেয়েও সুফল পায়নি। তবে তিনি ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন সফল জনপ্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সরেজমিনে উপজেলা সদরের এস এম স্কুল আন্ত:সড়ক, কলেজ রোড, কোর্ট রোডসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এ জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে মিরসরাই ডিগ্রী কলেজ, এস এম মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মিরসরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লতিফীয়া কামিল মাদ্রাসা, মারুফ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের হাঁটু পানি পাড়ি দিয়ে স্কুল ও কলেজে যাতায়াত করতে হয়। পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা মোটেই উন্নত নয়। যেগুলো আছে তাতে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশন না হয়ে আরো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌর ভবনের একশ গজ উত্তরে এস এম স্কুল আন্ত:সড়কে পানি জমে থাকে। পানি সরবরাহের এখানে সুষ্ঠু কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ২-৩ দিন পর্যন্ত পানি জমে থাকে। একই অবস্থা অন্য এলাকায়ও। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এ সড়কে চলাচলকারী ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। মিরসরাই এস এম মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সীমা ও ইসরাত জানান, বৃষ্টি হলে হাঁটু পরিমান পানি পাড়ি দিয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি মিললে পৌরবাসী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর বাজারে কোর্ট রোড, কলেজ রোডে নির্মাণকৃত ড্রেনে পানি অপসারন না হওয়ায় ক্রমেই পৌরবাসীকে জনদুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপরিকল্পিতভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন, বাড়ি, দোকানঘর ও রাস্তা নির্মানের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার কারণে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন পৌর এলাকায় বাস করেও পুরো বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়।
পৌর বাজারের ব্যবসায়ী ইফতেখার হোসেন পাবেল জানান, সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় ক্রেতাদের আসতে সমস্যা হয়। পৌর সদরে জলাবদ্ধতা পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মিরসরাই পৌর মেয়র এম শাহজাহান বলেন, পানি প্রবাহে কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার ফলে এমনটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
অন্য জেলা
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়