মিরসরাই(চট্টগ্রাম): মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে য্বুলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় কমপক্ষে ২০টি যানবাহনও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। বুধবার সকালে উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের জোরারগঞ্জ বাজারে এসব ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জোরারগঞ্জ বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তিন জনকে। আটককৃতরা হল যুবলীগ নেতা ফরিদ গ্রুপের প্রধান ফরিদ উদ্দিন ও তার সহযোগী আলাউদ্দিন এছাড়া যুবদল নেতা সিরাজ উদ্দিনকেও আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে যুবদল নেতাকে অপহরণ করার পর অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপজেলা বিএনপি।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মাঈন উদ্দিন টিটু গ্রুপ ও ফরিদ গ্রুপের মধ্যে। চলতি বছরের ১১ মার্চ দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন দিদারুল আলম নামের ছাত্রলীগ কর্মী মারা যায়। এছাড়া ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জোরারগঞ্জ বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে মারাতœকভাবে আহত হয় ২ জন। সর্বশেষ বুধবার (৫ জুন) ভোরে টিটু বাহিনীর লোকজন ফরিদকে মারতে আসে। এসময় ফরিদ জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সিরাজ উদ্দিনের প্রাইভেটকারে উঠে জোরারগঞ্জ বাজারে যাওয়ার উদ্দ্যেশে। টিটু গ্রুপের লোকজন আসার আভাস পেয়ে ফরিদ গাড়ি থেকে নেমে যায়। ফরিদ গাড়ি থেকে নেমে গেলে টিটু গ্রুপের লোকজন এসে প্রাইভেটকারে ফরিদকে না পেয়ে প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে থাকা সিরাজ উদ্দিনকে নিয়ে যায়। এতে করে পুরো এলাকায় যুবদল নেতা সিরাজকে অপহরণ করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুলিশ সকাল ১০ টায় সিরাজকে আবুরহাট রোড় এলাকা থেকে সিরাজকে উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা পালনকালে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিন ও আলা উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ফরিদকে গ্রেফতারের পর তার গ্রুপের লোকজন জোরারগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন যানবাহন ও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলায় ২০টি যানবাহন ও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় বিক্ষুদ্ধ ফরিদ বাহিনীর লোকজন টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা। আতঙ্কে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
ঘটনার পরপরই মিরসরাই-সীতাকুন্ডের এএসপি সার্কেল ইকবাল আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল খায়ের মুঠোফোনে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করার কথা জানান। তখন যুবদল নেতা সিরাজকে আটক না উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ওসি স্যার জানে ওনার সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বুধবার দুপুর দেড়টায় জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, ‘যুবদল নেতা সিরাজ উদ্দিন একটি প্রাইভেটকারযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার আবুরহাট রোড থেকে অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়।’
এদিকে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় যুবদলের নেতা সিরাজকে অপহরণ করে একটি গ্রুপের লোকজন। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ সিরাজকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে শুনি তার কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। তিনি সিরাজের কাছে অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক বলেও দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে যুবদলের নিরীহ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং যুবদল নেতা সিরাজের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন।
সর্বশেষ দুপুর সাড়ে তিনটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় জোরারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। (ডিনিউজ)
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল মাঈন উদ্দিন টিটু গ্রুপ ও ফরিদ গ্রুপের মধ্যে। চলতি বছরের ১১ মার্চ দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন দিদারুল আলম নামের ছাত্রলীগ কর্মী মারা যায়। এছাড়া ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জোরারগঞ্জ বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে মারাতœকভাবে আহত হয় ২ জন। সর্বশেষ বুধবার (৫ জুন) ভোরে টিটু বাহিনীর লোকজন ফরিদকে মারতে আসে। এসময় ফরিদ জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সিরাজ উদ্দিনের প্রাইভেটকারে উঠে জোরারগঞ্জ বাজারে যাওয়ার উদ্দ্যেশে। টিটু গ্রুপের লোকজন আসার আভাস পেয়ে ফরিদ গাড়ি থেকে নেমে যায়। ফরিদ গাড়ি থেকে নেমে গেলে টিটু গ্রুপের লোকজন এসে প্রাইভেটকারে ফরিদকে না পেয়ে প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে থাকা সিরাজ উদ্দিনকে নিয়ে যায়। এতে করে পুরো এলাকায় যুবদল নেতা সিরাজকে অপহরণ করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুলিশ সকাল ১০ টায় সিরাজকে আবুরহাট রোড় এলাকা থেকে সিরাজকে উদ্ধার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা পালনকালে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিন ও আলা উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ফরিদকে গ্রেফতারের পর তার গ্রুপের লোকজন জোরারগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন যানবাহন ও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলায় ২০টি যানবাহন ও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় বিক্ষুদ্ধ ফরিদ বাহিনীর লোকজন টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধের ফলে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে দূরপাল্লার যাত্রীরা। আতঙ্কে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
ঘটনার পরপরই মিরসরাই-সীতাকুন্ডের এএসপি সার্কেল ইকবাল আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল খায়ের মুঠোফোনে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করার কথা জানান। তখন যুবদল নেতা সিরাজকে আটক না উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ওসি স্যার জানে ওনার সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বুধবার দুপুর দেড়টায় জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, ‘যুবদল নেতা সিরাজ উদ্দিন একটি প্রাইভেটকারযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার আবুরহাট রোড থেকে অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়।’
এদিকে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় যুবদলের নেতা সিরাজকে অপহরণ করে একটি গ্রুপের লোকজন। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ সিরাজকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে শুনি তার কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। তিনি সিরাজের কাছে অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক বলেও দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, প্রশাসন প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে যুবদলের নিরীহ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং যুবদল নেতা সিরাজের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন।
সর্বশেষ দুপুর সাড়ে তিনটায় এ রিপোর্ট লেখার সময় জোরারগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। (ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়