Sunday, April 28

মেহেরপুরে পামচাষীদের পামচাষে সাফল্য হচ্ছে পামতেল : বাজারজাতের অপেক্ষায়

বাংলাপোষ্ট২৪/ই: মেহেরপুরে সৌখিন ও আশাবাদী প্রায় ৩শ পামচাষী তাদের ২শ বিঘা জমিতে ১০ হাজার পামগাছের চারা লাগিয়েছিল ২০০৯ সালে। কোম্পানীর লোকের কাছে শিখেছিল গাছে পামওয়েল হরমোন প্রয়োগ, গাছে সুষম জৈবসার কিভাবে দিতে হয়, রোগ প্রতিরোধ ট্যাবলেটের মাত্রা কত?
পামচাষ করতে এসে সবই তারা রপ্ত করেছে। পামগাছে তিন বছর থেকেই ফল পাওয়া যায়। আট মাস ফলের বয়স হলেও সেই ফল থেকে তেল আসে। পামগাছ ৩০ ফুটের চাইতেও বড় হয়। বছরে ১০ থেকে ৩০টি কাঁদি হতে পারে এবং প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৮০ কেজি হারে ফল আসে। বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের জমিতেই পামচাষ হয়ে থাকে।
পামচাষী আশরাফপুরের রুহুল, গাংনীর জিয়া এবং আমঝুপীর আশরাফ বলেন কৌতুহল এবং ইচ্ছা নিয়েই পামচাষ শুরু করেছিলাম মালোয়েশিয়া নয় বাংলাদেশে এবং তাদের নিজেদের জমিতে নিজেদের পরিচর্যায় পামগাছ হয়েছে, এসেছে গাছে ফল এটা ভাবতে তাদের আনন্দ।
পামওয়েল খাদ্য ছাড়াও কসমেটিক, সাবান, ডিটারজেন্ট, গ্রীজ, লেখার কালি, মিল্ক পাউডার ও এসিডের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। বোটানিক এগ্রো লিঃ হেড অফিস মেহেরপুরের এক কর্মকর্তা কাজী মেহেদী হাসান বলেন পামতেল প্রস্তুত এর মেশিন এখন মেহেরপুরে।
সারা বাংলাদেশ থেকে মেহেরপুরে পামের ফল সরবরাহ করে পামতেল উৎপাদন এবং বাজারজাত করা হবে। তিনি আরো বলেন পামচাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে পারে একটি মাঝারী আয়ের দেশ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়