জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মিকির পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র ভূমিহীন বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বটল (৬০) কে গত মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত বীরমুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ নূরুল ইসলামকে আংশকাজনক অবস্থায় সিলেট ওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্র এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ভূমিহীন এ মুক্তিযোদ্ধা তার ৫ ছেলে ও ৫ মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সরকারী একখন্ড ভূমিতে ভিটেবাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছিলেন। উক্ত ভিটেবাড়ী ভূমি থেকে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামকে বেদখল করার জন্য একই গ্রামের মৃত হাসিমের পুত্র জয়নাল আবেদীন এবং নারাইনপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র আব্দুস শুকুর গংরা দীর্ঘদিন ধরে হুমকি-ধমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টা করে আসছিল। গত ২৬/১২/১২ইং তারিখে জয়নাল গংরা মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের বাড়ীতে হানা দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ৩০ হাজার টাকা মূল্যে ৬টি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং আরও ২২টি গাছ কেটে ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে একমাত্র সম্বল ভিটবাড়ীটি জবরদখলকারীদের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য নূরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে জয়নাল গংদের বিরুদ্ধে ৩১/১২/১২ইং তারিখে একখানা অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ দাখিলের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জয়নাল আবেদীন গংরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত মঙ্গলবার বেলা অনুমান ১২ টায় মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের বাড়ীতে হানা দিয়ে তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ছেলে-মেয়েদের মারধর করে। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামকে উদ্ধার করে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট ওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় আজ বুধবার হামলাকারী জয়নাল আবেদীনসহ ৬ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী অসহায় মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের ভিট বাড়ীটি জবর-দখলকারীদের কবল থেকে রক্ষা এবং তার উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়