Friday, January 25

ভাইকে বেঁধে দুই বোন ধর্ষণ: ওসিকে তলব

এফএনএস : হাই কোট ভাইকে বেঁধে রেখে দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার ওসিকে তলব করেছে। গতকাল বুধবার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে করা একটি আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হোসেনকে আগামী ২৮ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ওই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। আদালত একইসঙ্গে আমলযোগ্য ওই অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজাদারি কার্যবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদিদেরকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চায়। দুই সপ্তাহের মধ্যে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম বিভাগের উপমহাপরিদর্শক, কুমিল্লার এসপি এবং চৌদ্দগ্রামের ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।

গত ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত 'এবার ভাইকে বেঁধে রেখে দুই বোনকে গণধর্ষণ' শিরোনামের একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আবেদনটি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতুপা দৌলতপুর গ্রামের দুই বোনকে সদর দক্ষিণ উপজেলার পরানপুর গ্রামের পোশাক কর্মী মাহবুব আলম ও চৌদ্দগ্রামের পূর্ব বেলঘর গ্রামের রাসেল গত বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পথে শিবেরবাজার কবরস্থান সংলগ্ন জঙ্গলের ভেতর তাদেরকে ১০-১২ জন যুবক ধর্ষণ করে। এ সময় দুই বোনের সঙ্গী ১০ বছর বয়সী ছোট ভাইকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, আজকের পত্রিকায় ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের খবর এসেছে। কিন্তু ওইদিনের পত্রিকায় বলা হয়েছে, ওসি বলছেন, কেউ না আসায় এফআইআর হয়নি। ওসি এটা বলতে পারেন না। এটা আমলযোগ্য অপরাধ। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে এ ধরনের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করতে না আসলে পুলিশকেই মামলা করতে হয়। ওসিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়