কানাইঘাটে সৎ ভাইয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে আতংঙ্কের মধ্যে দিনযাপনের অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে কাড়াবালা নিজগ্রামের মৃত হাজী নছিরুল হকের পুত্র মাসুক আহমদ (৪৮), এ অভিযোগ করেন। জানা যায়, মাসুক আহমদ তার সৎ ভাই মখলিছুর রহমানকে নিজ খরচে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন। প্রবাসে যাওয়ার পর আংশিক টাকা মখলিছ পরিশোধ করলেও বাকি টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ করেনি। এমনকি সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রবাসে থাকা অবস্থায় আলাদাভাবে নিজস্ব তহবিল সঞ্চয় করে। প্রায় ৫মাস পূর্বে সৌদি আরব হতে বাড়ী ফিরে পৈত্রিক বাড়ীতে আলাদাভাবে নিজের ঘর তৈরীর ইচ্ছা করলে তাকে মাসুক আহমদ সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন ব্যবস্থা করে দেন। এর কিছুদিন পর মাসুক আহমদ নিজেই পৈত্রিক বাড়ীতে আরেকটি ঘর তৈরী করতে চাইলে মখলিছ বাধা প্রদান করে। বিষয়টি কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইফজালুর রহমানসহ স্থানীয় মুরব্বি এবং কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ ভাটোয়ারা করে দেন। গত ১৯ডিসেম্বর মাসুক আহমদ তার ভাটোয়ারা অংশে ঘর তৈরী করতে চাইলে মখলিছ আবার বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে সে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাসুককে পেটাতে শুরু করলে তার আর্ত চিৎকারে বোন ফাতেমা বেগম (৬০) এগিয়ে আসলে তাকেও সে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের সুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করেন। এর পরও সে ক্লান্ত হয় নি, মাসুক আহমদ ও তার বোন ফাতেমা বেগম হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রাতে ফাতেমা বেগমের বসত ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। এসকল ঘটনার ইন্ধনদাতাদের এবং মখলিছুর রহমানকে আসামী করে মাসুক আহমদ কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- (০১) ০১-০১-২০১৩ইং।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়