Sunday, December 9

:: আজ কানাইঘাট হানাদার মুক্ত দিবস ::

কাওছার আহমদ :
মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১সালের ৯ই ডিসেম্বর কানাইঘাট হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। জন্মভূমি বাংলাদেশের কানাইঘাট উপজেলাকে মুক্ত করতে রক্ত নদীর উজান বেয়ে মুক্তিযুদ্ধে দিতে হয়েছে অসংখ্য তাজা প্রাণ ও অনেক মা-বোনের ইজ্জত। একাত্তরের রণাঙনে ৪নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্তের অধীনে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে কানাইঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা খলিলুর রহমানের সাথে আলাপকালে জানা যায়, মে মাসের প্রথম দিকে পাক সেনারা ক্যাপ্টেন বশারত খানের নেতৃত্বে কানাইঘাটে প্রবেশ করে সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে রেন্টি গাছের নিচে বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ৩টি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে ডাক বাংলো, বাস স্ট্যান্ড ও মমতাজগঞ্জ বাজারে ক্যাম্প স্থাপন করে। এখান থেকেই দেশীয় বিশ্বাস ঘাতক পাকহানাদার বাহিনীর দোসর, রাজাকার ও আল শামসের সহযোগিতায় সমগ্র উপজেলা জুড়ে হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে। তাদের এ নাশকতা মূলক কর্মকান্ডের প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ও মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধারাও লোভাছড়া, রঘুরচর ও লোভাছড়ায় ক্যাম্প স্থাপন করে পাল্টা আক্রমন শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ডালাইচর, মহেশপুর, রায়গড়, লোভাছড়া ,বিষ্ণুপুর (করচটি), বদিকোনা ও গৌরিপুর এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। ৮ডিসেম্বর সকালবেলা মেজর জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের সাথে যুদ্ধ করে। এ যুদ্ধে ৪জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ৫/৬জন আহত হন। অপরদিকে পাক বাহিনীর মধ্যে ৭০/৭৫জনের মত মারা যায় এবং ১৮/২০জন গুরুতর আহত হয়। এ যুদ্ধের পর সুরমা নদীর দণি অঞ্চল ছেড়ে পাক সেনারা চলে যায়। পরদিন ৯ডিসেম্বর ভোরে সুরমা নদীর উত্তর পার, বিষ্ণুপুর (করচটি) মুক্তিযোদ্ধারা আবার পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করলে ৪জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে পাক সেনারা কানাইঘাট ছেড়ে পলায় ন করে সিলেটের উদ্দেশ্যে চলে যায়। এর পরই ৯ডিসেম্বর ভরদুপুরে কানাইঘাট পাক বাহিনীর দখল মুক্ত হয় এবং লাল সবুজের জাতীয় পতাকা স্বাধীন আকাশে উড়তে থাকে।






শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়