Monday, August 6

কলেবর বাড়ছে জিআরপির

রেলের সম্পদ ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে রেল পুলিশ ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য রেল পুলিশের জনবল ও প্রশাসনিক পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। একই সাথে রেলের পূর্ব ও পশ্চিম জোনে সৃষ্টি করা হচ্ছে আরো দুটি নতুন জেলা। ইতিমধ্যে রেলপুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের উচ্চমহলে পাঠানো হয়েছে। তাতে রেলের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রামকে ভেঙ্গে ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলের সৈয়দপুরকে ভেঙ্গে পাকশি জেলা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রেল পুলিশের কলেবর বাড়াতে প্রশাসনিক বিন্যাসের অংশ হিসেবে রেল পুলিশে কর্মকর্তা পর্যায়ে ১শ� এবং কনস্টেবল পর্যায়ে ১ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে পদসমূহ সৃষ্টি করা হবে পর্যায়ক্রমে। বর্তমানে রেল পুলিশের কলেবর বৃদ্ধির প্রস্তাবটি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘুরে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাবে। তবে সবুজ সংকেত পাওয়ায় এরই মধ্যে জিআরপির নতুন জেলা সৃষ্টিসহ লোকবল বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই জনবল সঙ্কটে ভুগছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)। এ বাহিনীর কলেবর বাড়ানোর উদ্যোগে রেলের সম্পদ ও যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। পাশাপাশি দেশের রেলপথ যে চোরাচালানির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে তা থেকেও রেলকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কারণ বর্তমানে ১ হাজার ৫২৩ জন সদস্য নিয়ে জিআরপি রেলের সম্পদ ও যাত্রী নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে রয়েছে ৭৮৬ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৭৩৭ জন। সদস্য সংখ্যা কম হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জিআরপি। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে জিআরপির আওতায় রেলের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে ১টি করে ২টি জেলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে� পশ্চিমাঞ্চলে সৈয়দপুর ও পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম। প্রতিটি জেলার আওতায় ১২টি করে ২টি জেলার আওতায় প্রশাসনিক থানা রয়েছে ২৪টি। মূলত এসব থানার মাধ্যমেই রেলের সার্বিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে জিআরপি। কিন্তু নতুন দুটি জেলা হলে জিআরপি জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪টিতে। আর নতুন জেলা গঠিত হলে এর জনবলও বাড়বে। কারণ প্রস্তাবনায় নতুন করে ১ জন ডিআইজি, ২ জন পুলিশ সুপার, ২২ জন পরিদর্শক, ২৪ জন উপ-পরিদর্শক ও ২০ জন সহকারী পরিদর্শকের পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। নতুন জেলা হওয়ার পর এসব জেলার আওতায় থানাগুলো ভাগ করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।এ প্রসঙ্গে জিআরপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, জিআরপির কলেবর বাড়ানোর একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবনাটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রস্তাবনাটি অনুমোদিত হলে নতুন দুটি জেলা গঠনের পাশাপাশি জিআরপিতে জনবল নিয়োগের কাজও শুরু হবে।খবর:-ফেয়ার নিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়