মো: কয়েছ মিয়া :: এসএসসি পরীক্ষার পর বরাবরের মত এইচএসসি পরীক্ষায়ও দেশসেরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে সিলেট শিক্ষাবোর্ড। ২০১২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডের ৩৭ হাজার তিনশ’ ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ হাজার ৯০৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৮৫.৩৭%।সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ইতিহাসে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। এবার দেশের সাধারণ শিক্ষা বোর্ড সমূহের মধ্যেও এটি উচ্চতম হার। সারাদেশে গড় পাশের হার শতকরা ৭৮.৬৭ ভাগ। সিলেট বোর্ডে এবার গত বছরের চাইতে প্রায় আড়াইগুন ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১২টি কলেজ শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে। শতভাগ ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান নেই একটিও। এবছর সিলেটে ছেলেদের চাইতে প্রায় আড়াই হাজার মেয়ে বেশি পাশ করেছে। তবে পাশের হার ও জিপিএ ৫ ছেলেদের বেশি। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের আওতায় বৃহত্তর সিলেটের ১৬৯টি কলেজের মোট ৩৭ হাজার তিনশ ৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ হাজার ৯০৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার শতকরা ৮৫.৩৭ ভাগ, যা গতবারের চাইতে ৯.৬৯ ভাগ বেশি। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ হাজার ১৮ জন ছাত্র এবং ১৬ হাজার ৮৮৫ জনছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগে ৫৭৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮৬৫ জন, মানবিক বিভাগে ২৪ হাজার ১৩২ জনের মধ্যে ২০ হাজার ১৫৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সাত হাজার ৫০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় হাজার ৮৮০ জন পাশ করেছে। বিভাগ ওয়ারি পাশের হার বিজ্ঞানে ৮৪.৮০% মানবিকে ৮৩.৫৩% এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯১.৭০%। জিপিএ ৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ও অতীতের রেকর্ড ভঙ্গঁ করেছে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। অপেক্ষাকৃত নবীন এই শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বছর দু’হাজার ৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৭ জন ছেলে এবং এক হাজার ২৮ জন মেয়ে। বিজ্ঞান বিভাগে ৬৭৫ জন ছাত্র ও ৫৪৮ জন ছাত্রী, মানবিক বিভাগে ১১৯ জন ছাত্র ও ২৯৪ জন ছাত্রী এবং ব্যবসায়শিক্ষা বিভাগে ২৪৩ জন ছাত্র ও ১৮৬ জন ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এবার সংখ্যার দিক থেকে ছেলেদের চাইতে মেয়েরা বেশি পাশ করলেও পাশের হার ছেলেদের বেশি (ছেলে ৮৫.৮৮%, মেয়ে ৮৪.৯১%।
অন্যান্য সূচকেও অতীতের চাইতে ভাল করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। জিপিএ ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে পেয়েছে ৬৩১৪ জন, ৩.৫০ থেকে ৪ এর মধ্যে আছে ৬৩৩৩ জন, ৩ থেকে ৩.৫০ এর মধ্যে ৬৯২৮ জন, ২ থেকে ৩ এর মধ্যে ৮৯২৯ এবং ১ থেকে ২ এর মধ্যে ১৩৩৪ জন। এদিকে, এইচএসসির ফল প্রকাশ উপলক্ষে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মনির উদ্দিন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেটে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। বোর্ডের ফলাফলই এটি প্রমাণ করে। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি, সময়মত বই সরবরাহ ও পাঠদানের কারণেই এ সাফল্য এসেছে। এ জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক একেএম গোলাম কিবরিয়া তাপাদার উপস্থিত ছিলেন।খবর:-বাংলাদেশ বার্তা ডটকম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়