বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার স্বার্থে এ আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাওলানা সাঈদীর ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী জানান,“অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন ও নুরুজ্জামানের সমন্বয়ে তিন সদস্যের আইনজীবী দল প্যারোল আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের বাসায় গেছেন।” তিনি বলেন, “২০০৩ সালে লন্ডনের রয়াল ব্রমসন হাসপাতালে বাবার হার্টে দু’টি রিঙ পরানো হয়েছিল। তাই আমরা চাচ্ছি, এবারো একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।”এর আগে আজ সকালে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে নব-গঠিত আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে মাওলানা সাঈদীর দু’টি টেস্ট করার জন্য বলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই।বোর্ডের প্রধান এবং কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. এম এ রশিদ কারামহাপরিদর্শক বরাবর যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, “মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে রিভাসকুলারাইজেশনের আগে ও পরে সিভিয়ারিটি নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে ইভালুয়েশন করা জন্য এফএফআর এবং আইভিইউএস করা অতি দ্রুত প্রয়োজন। কিন্তু এ ব্যবস্থা এই হাসপাতালে নেই। বিষয়টি অপনার সদয় অবগতি এবং মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে অতি দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা যাচ্ছে।” গতকাল বিকেলে বারডেমের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে মাওলানা সাঈদীর এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তাঁর বুকে নতুন করে আরো চারটি ব্লক ধরা পড়েছে।চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নতুন যে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে তার মধ্যে দু’টি রক্তনালীর শতকরা ৯৫ ভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত তাতে রিং না লাগালে বা অপারেশন না হলে রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হতে পারে।গত ১৩ জুন বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদীর জানাযা শেষে জেলখানায় ফেরার পর পরই মাওলানা সাঈদী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা ও চাপ অনুভব করেন। কারা কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে তাকে বারডেমে পাঠান। বর্তমানে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সূত্র:-খবরটোয়েন্টিফোর.কম
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়