কানাইঘাট সড়কের বাজার আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সমি কর্তৃক মাদ্রাসার ওয়াকফ এস্টেটের দেড়কোটি টাকা আত্মসাতের আংশিক অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এমপিভুক্ত মাদ্রাসার প্রধান হিসেবে সরকারীভাবে শতভাগ বেতন গ্রহণ করা স্বত্বেও মাদ্রাসার ওয়াকফ সম্পত্তির অর্থ থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে অধ্যক্ষ আব্দুস সমি প্রতিমাসে ২১হাজার ৫৬৫টাকা উত্তোলন এবং মাদ্রাসার ওয়াকফ এস্টেটের মালিকানাধীন সড়কের বাজার একসনা নিলাম বাবদ সহ দোকান-পাট ভাড়া, লীজ, অগ্রিম অর্থ গ্রহণ ও বরাদ্দের নামে অনিয়মের মাধ্যমে ৪৯লক্ষ ৪৬হাজার ৯৪৮ টাকা বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন করে আত্মসাত করিয়াছেন বলে তদন্ত রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত ১৩/১২ ২০১১ইং তারিখে মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ওলিউর রহমান ও এলাকাবাসীর পক্ষে নিজাম উদ্দিনসহ আরো অনেকে ০৬/০২/১২ইং তারিখে বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সমির বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ওয়াকফ সম্পত্তির অর্থ থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতিমাসে ২১হাজার টাকা করে বেতন ভাতা উত্তোলন এবং সড়কের বাজারের নিলামের টাকা আত্মসাৎসহ আংশিক দূর্নীতির অভিযোগ এনে পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেন অভিযোগ দু’টির তদন্তের জন্য উপজেলা একাউন্টস অফিসার এ কে এম ওহিদুজ্জামানকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একাউন্টস অফিসার সরেজমিনে সড়কের বাজার মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে মাদ্রাসার বেতন ভাতা ও হিসাবের খাতা পত্র এবং ব্যাংক একাউন্ট খতিয়ে দেখে ব্যাপক গরমিল দেখতে পান। পরে তিনি মাদ্রাসার ওয়াকফ সম্পত্তির ২০০৮ হইতে ২০১১ ইং পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব এক নজরে খতিয়ে দেখে অধ্যক্ষ আব্দুস সমি কর্তৃক দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে মাদ্রাসার ৪৯লক্ষ ৪৬হাজার ৯৪৮টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করিয়াছেন উল্লেখ করে গত ১৩ ফেব্র“য়ারী নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, মাদ্রাসার ওয়াকফ সম্বপত্তির দেড়কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত আব্দুস সমির বিরুদ্দে বর্তমানে অতিরিক্ত একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্তের কাজ চলছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়