কানাইঘাট সীমান্তে দু'বাংলাদেশীর গলিত লাশ উদ্ধার
কানাইঘাট উপজেলার ১নং লীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে ভারতীয় খাসিয়া কতর্ৃক অপহরণের ৯দিন পর সীমান্তের ১৩৩২নং মেইন পিলারের নিকট বাংলাদেশ অভ্যন্তরে গতকাল লাশ দু'টি ফেলে রাখা হয়। ডোনা বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গত ২২ফেব্রুয়ারী উপজেলার ১নং ইউপির ডোনা সীমান্তে মিকির পাড়া গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র আলতাফ মিয়া (২৬) ও একই গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র ইউনুস মিয়া (২২) কে সীমান্ত থেকে ভারতীয় খাসিয়ারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি তাদের স্বজনরা স্থানীয় ডোনা বিজিবি ক্যাম্প কতর্ৃপকে অবহিত করেন। পরে ক্যাম্প কতর্ৃপ উক্ত অপহরণের প্রতিবাদ জানিয়ে ২৩ফেব্রুয়ারী ভারতীয় বিএসএফ এর আমখিয়াং ক্যাম্প কর্তৃপকে পতাকা বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। এতে বিজিবি বার্তা পাঠানোর দু'দিন পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৩৩২নং মেইন পিলারের পাশে পতাকা বৈঠকে মিলিত হয়। আলোচনার পর অপহরণকৃত ২বাংলাদেশী নাগরিকের ছবি চাইলে বিজিবি কতর্ৃপ বিএসএফ কে ছবি দু'টি হস্থান্তর করেন। কিন্তু আলোচনার দু'দিন পরও অপহরণকৃত ২বাংলাদেশী নাগরিকের কোন সন্ধান দিতে না পারায় বিজিবির অনুরোধে পুণরায় ২৮ফেব্রুয়ারী আবারও বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকে মিলিত হয়। এসময় বাংলাদেশের প েনেতর্ৃত্ব দেন নায়েব সুবেদার নুরুল ইসলাম এবং ভারতের প েআমখিয়াং ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর এমএজি খান ও রাজিব কুমার। উক্ত পতাকা বৈঠকে বিএসএফ অপহরণ কৃত ২বাংলাদেশীকে খুঁজে বের করে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে। এদিকে গতকাল অপহরণকৃত ২বাংলাদেশীর গলিত লাশ সীমান্তের ১৩৩২নং পিলারের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশ দু'টির আত্মীয়-স্বজনরা তাদের দেহের গড়ন ও পরনের কাপড় দেখে মৃতদের লাশ সনাক্ত করেন। পরে বিষয়টি তারা ডোনা ক্যাম্প কতর্ৃপকে অবহিত করলে ক্যাম্প কতর্ৃপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানা-পুলিশকে লাশ দু'টি উদ্ধারের জন্য খবর দিলে কানাইঘাট থানার এসআই ওয়াহীদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সিলেট ওমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদশাহ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিদের আসামী করে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন, মামলা নং-১, তারিখ ০২/০৩/২০১১ইং।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়