ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী মাসে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চান সাকিব আল হাসান। তবে হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় দেশে ফেরাটা তার জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কঠিন। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘ খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ঐদিন রাজধানীর আদাবরে পোশাককর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে।
কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্টের আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেও জানিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে। তবে চাপের মধ্যে এত দিন সব মনোযোগ মাঠেই রেখেছেন এ অলরাউন্ডার।
সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিসিবির কাছে মিরপুরে আমার শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। আমি এটা বিসিবিকে বলেছি, তারা আমার সঙ্গে একমত হয়েছে। আমি যাতে বাংলাদেশে যেতে পারি তারা সবকিছু গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।’
‘ঘরের মাটিতে সমর্থকদের সামনে আমার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করাটা উপযুক্ত মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি এই ফরম্যাটে ঘরের মাঠেই আমার শেষটা দিতে চাই। যদি তা (নিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টি) না হয়, কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ক্রিকেটে হবে আমার শেষ টেস্ট।’
সেদিন রাতে বিসিবির বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক জানান, সাকিবের নিরাপত্তা বিসিবির হাতে নেই। সরকারের উপর মহল থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য বোর্ডের নেই।
‘নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।’
ফারুক আহমেদ অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে চান ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতেই খেলুক। তার ভাষ্য, ‘সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।’
‘সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।’
দেশে না ফিরেই দলের সঙ্গে পাকিস্তান ও ভারতের মাটিতে সিরিজ খেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাবেক টাইগার অধিনায়ক দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার ঘোষণা দিলেও বাস্তবতা যে কঠিন, তা জানিয়ে দেন। সেটি না হলে ভারতের মাটিতেই খেলবেন তার শেষ টেস্ট ম্যাচ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়