ওপার বাংলার অন্যতম সেরা নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের বেশকিছু সিনেমায়ও তাকে দেখা গেছে। গত জুলাইয়ে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন ‘তরী’ নামে আরও একটি বাংলাদেশি সিনেমার সঙ্গে। কিন্তু সেখান থেকে বাদ পড়েছেন ঋতুপর্ণা।
গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন ‘তরী’র পরিচালক রাশিদ পলাশ। তার দেওয়া তথ্যমতে, এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিনেমাটির প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে। খুব শিগগির দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু হবে ঢাকায়। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না।
এ সম্পর্কে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘তরী’ সিনেমার জন্য ঋতুপর্ণার সঙ্গে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে শুটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথাও ছিল তার। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় ও শেষ লটের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। তাই মধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিডিউল ভেস্তে যায়। এখন নতুন করে শুটিংয়ের পরিকল্পনার কথা ভাবছি।’
নতুন শিডিউলে ঋতুপর্ণা থাকবেন কি-না সে বিষয়ে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘স্ক্রিন্ট অনুযায়ী ঋতুপর্ণার যে দৃশ্যগুলো রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই আউটডোরের। তাকে নিয়ে ঢাকার একটি বস্তিতে ১০-১২ দিন শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু দেশের যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে ঋতুপর্ণার মতো বড় তারকাকে নিয়ে আউটডোর শুটিং করা কঠিন। তাই তার জায়গায় দেশের অন্য কোনো অভিনেত্রীকে নিয়ে সিনেমার কাজটা শেষ করব।’
যদিও কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, আউটডোরে শুটিং করা কোনো সমস্যা নয়। আসলে বাংলাদেশে আসতে ভিসা জটিলতায় পড়েছেন ওপারের নায়িকা ঋতুপর্ণা। সে কারণেই তিনি রাশিদ পলাশের ‘তরী’র শুটিংয়ের জন্য যথাসময়ে আসতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের পর বাংলাদেশের সিনেমায় ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে। এটাকে অনেকে চলচ্চিত্রের ‘অন্ধকার যুগ’ বা ‘কাটপিস’-এর যুগও বলেন। সেই যুগের একজন নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল ঋতুপর্ণার। কিন্তু তিনি বাদ পড়লেন।
জানা গেছে, ‘তরী’ প্রযোজনা করছে পুণ্য ফিল্মস। এ সিনেমার গল্প লিখেছেন আহাদুর রহমান। চিত্রনাট্য করেছেন গোলাম রাব্বানী। শুটিং এবং ডাবিং শেষে এ বছরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়