ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সমস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে বহু হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে লেবানিজ গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েলের গোলানি ব্রিগেডের (একটি পদাতিক ব্রিগেড) সদর দপ্তর এবং লেবাননের সীমান্তের কাছে শ্রাগা ব্যারাকে অবস্থিত একটি অভিজাত কমান্ডো ইউনিট ইগোজ ইউনিটের সদর দপ্তরে একের পর এক ড্রোন নিক্ষেপ করেছে তারা।
হিজবুলাহর দাবি, তাদের ড্রোন নিখুঁতভাবে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল এবং বহু হতাহত নিশ্চিত করেছে।
গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, গত সপ্তাহে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার জন্য এর প্রতিক্রিয়া ‘এখনো আসতে বাকি’।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ড্রোনের আঘাতে নিকটবর্তী শহর মাজরায় দুইজন আহত হয়েছে, একজনের অবস্থা গুরুতর।
এরআগে শনিবার দিবাগত রাতে উত্তর ইসরায়েলের বেইট হিলেল শহরে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, উত্তর ইসরায়েলের বেইট হিলেল বসতিতে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ ঘোষণা করেছে। তারা বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের কাফার কেলা এবং দেইর সিরিয়ানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল১৪ জানিয়েছে, আপার গ্যালিলের দিকে কমপক্ষে ৫০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে। তবে এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ওপর প্রতিশোধের গোষণা দিয়েছে ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
অন্যদিকে, ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। এরপর থেকেই হানিয়াহকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। এমনকি ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ফলে যেকোনো সময় ইসরায়েলে ওপর ব্যাপক আকারে হামলা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়