Sunday, December 20

ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড পেলেন কানাইঘাটের জুবায়ের


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক  :

যুক্তরাজ্যভিত্তিক চ্যানেল এস-এর চিফ রিপোর্টার ও লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ জুবায়ের ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। ষোড়শ এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো সাংবাদিক এমন স্বীকৃতি পেলেন। কারি ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির কভিড-১৯ বাস্তবতায় বিশেষ রিপোর্টিংয়ের কথাও উল্লেখ করা হয় অনুষ্ঠানে। বিবিসিখ্যাত সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা ম্যাকার রাগি ওমর অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হিসেবে মুহাম্মদ জুবায়েরের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন খ্যাতিমান ব্রিটিশ কমেডিয়ান রোরি ব্রেমনার।


অ্যাওয়ার্ডসের প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, মুহাম্মদ জুবায়ের একজন পরিশ্রমী ও মানবিক বোধসম্পন্ন সাংবাদিক। তিনি নিঃস্বার্থভাবে কমিউনিটির কল্যাণে সাংবাদিকতার মাধ্যমে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। তার অনুসন্ধানী ও তথ্যভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে বহু বিষয়ে কমিউনিটি আলোকিত হয়। তার রিপোর্টিংয়ে প্রাধান্য পায় এথনিক ও মুসলিম কমিউনিটি। লন্ডন-বাংলা প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে ভলেন্টারি কাজেও তার সক্রিয়তা রয়েছে।




অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশন প্রদানকারী হিসেবে চ্যানেল এসের হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খান বলেন, সহকর্মী হিসেবে মুহাম্মদ জুবায়েরের নাম প্রস্তাব করে আমি নিজেই গর্বিত। সাংবাদিকতা মানেই শুধু নেতিবাচক চিত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকা নয়, কমিউনিটিকে ধারণ করে ইতিবাচক সাংবাদিকতায় আলাদা মেধার পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। তার কাছ থেকে আমি নিজেও প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখি।




অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, আমরা সবাই এক কঠিন সময় পার করছি। রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য এ সময়টি আরও বেশি চ্যালেঞ্জের। আর ইন্ডাস্ট্রির সেইসব কভিড হিরোদের স্বীকৃতি দিচ্ছে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড।


মুহাম্মদ জুবায়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং আইসিইউ থেকে কয়েক মাস পর ফিরে আসা মানুষজনের কাহিনি নিয়ে নিউজ রিপোর্টিংয়ের পাশাপাশি চ্যানেল এসের মাধ্যমে মিডিয়া প্রডাকশন ভিত্তিক মানবিক কাজেও অনন্য পরিচয় দিয়েছেন। কভিড-১৯ 'ফিড ফাইভ থাউজেন' নামের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৩ হাজার মানুষকে প্রায় ১২৬ হাজার পাউন্ড বাজেটে ফুডপ্যাক দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে 'লাভ ফর এনএইচএস' প্রজেক্টের মাধ্যমে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রদান করা হয় ১১৫ হাজার পাউন্ড। এই প্রজেক্টেও ফান্ডরেইজিং পার্টনারদের সমন্বয় করেন তিনি। ২০১৯ সালে বহুল প্রশংসিত 'সেইভ তাফিদা' ক্যাম্পেইনে কালেকশন ছিল ১৬০ হাজার পাউন্ড। কমিউনিটি নেতাদের চ্যানেল এসের মাধ্যমে এক কাতারে এনে এই ক্যাম্পেইন সফলতার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তার।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়