Friday, June 5

কানাইঘাট লোভাছড়া কোয়ারি থেকে পাথর পরিবহনে হাইকোর্টে রিট


নিজস্ব প্রতিবেদক:    
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর মহালের ইজারার মেয়াদ গত ১৩ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। 

করোনা দুর্যোগকালীন বিরাজমান থাকায় এবং সুরমা ও লোভা নদীতে পানির প্রবাহ কম থাকার কারনে পাথর কোয়ারি থেকে উত্তোলনকৃত কোটি কোটি টাকার পাথর মজুদ থাকার কারনে ব্যবসায়ীরা সঠিক সময় পরিবহন ও অপসারন করতে পারেন নি। 

এতে করে পাথর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। 

বর্তমানে সুরমা ও লোভা নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা যখন পাথর নদী পথে বহনের জন্য তোড়জোড় শুরু করেন এরই মধ্যে কোয়ারির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কোয়ারিতে মজুদকৃত পাথর আগামী ১৫ জুনের মধ্যে পরিবহন ও অপসারনের জন্য সময় চেয়ে কোয়ারীর ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশের পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টের একটি ব্রেঞ্চে গত ০৩ জুন একটি রিট পিটিশন আবেদন দায়ের করেছেন এডভোকেট রুহুল আমিন। 

বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের ব্রেঞ্চে রিট পিটিশন আবেদন দাখিল করা হয়। 

রিটের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত কোয়ারীর দুই পারে মজুদকৃত পাথর পরিবহন ও অপসারনের আদেশ দিয়েছেন বলে ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ ও অনেক পাথর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। 

এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে পাঠিয়েছেন বলে জানান। 

যার কারনে কোয়ারী থেকে পাথর পরিবহন, অপসারনে আর কোন ধরনের বাঁধা নেই বলে পাথর ব্যবসায়ীরা ও ইজারাদার দাবী করেছেন।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ই-মেইলের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের আবেদনের একটি কপি পেয়েছি। আদালতের রিট পিটিশনের চূড়ান্ত আদেশ ও খনিজ সম্পদ ব্যুারো থেকে পরবর্তী যে নির্দেশনা আমাদের কাছে আসবে সেই আলোকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

একই কথা বলেছেন কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৫ জুন ২০২০   


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়