আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, আমি এতটাই খুশি হয়ে, যা বলে বোঝাতে পারবো না। এ মামলাটি পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনীজীবীরা অনেক সময় কোর্টের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করেছেন। কিছু আইনজীবী অশোভন আচরণও করেছেন। নিজের মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে নুসরাতের জন্য লড়েছি, কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করিনি।মামলাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরের ২৭ মার্চ মাদরাসার অদক্ষ সিরাজ উদদৌলার নেতৃত্বে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ২৮ মার্চ মামলা করেন নুসরাতের মা। ওই মামলাটির আইনজীবী ছিলাম। এরপর ১০ এপ্রিল থেকে নুসরাত হত্যা মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছি। সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে এ মামলাটি স্বপ্রণোদিত হয়ে লড়েছি, অনেক সময় নিজের পকেট থেকে ব্যয় করেছি। নুসরাতের পরিবারকে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি। একটা কাগজও কিনতে হয়নি।
তিনি বলেন, আমার নিজেরই তিনটা মেয়ে আছে, তারাও লেখাপড়া করে। আর কোনো মেয়েকে যেন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন নির্মমতার শিকার হতে না হয়। সেজন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য আইনি লড়াইয়ে লড়েছি। এতে পারিশ্রমিক নেয়ার প্রশ্নই আসে না।
মামলাটি পরিচালনার বিষয়ে ব্যতিক্রম কী? জবাবে শাহজাহান সাজু বলেন, মামলাটি আমার আইন পেশার ‘বিরল অভিজ্ঞতা’, মাত্র ৬২ কার্য দিবসে এই মামলার রায় হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন চাঞ্চল্যকর মামলার নিষ্পত্তি একটি বিরল ঘটনা।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়