এক মাস বয়সী কন্যাসন্তান কোলে নিয়েই ফাঁসির রায় শুনলেন নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামি কামরুন নাহার মণি।
বৃহস্পতিবার সকালে রায় ঘোষণার আগে সদ্য
ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে কোলে নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি। সে সময়
শিশুটির শরীরে একটি তোয়ালে পেঁচানো অবস্থায় দেখা যায়।
কামরুন নাহার মণি নুসরাতের সহপাঠী ছিলেন। গর্ভে পাঁচ মাসের সন্তান নিয়েই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কারাবন্দী কামরুন
নাহার মণির প্রসব বেদনা শুরু হয়। পরে তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া
হয়। ওই রাতেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে সন্তান কোলে নিয়েই
বিচারকাজে অংশ নিয়েছেন মণি।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কামরুন নাহার
মণি জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি নুসরাতকে মাটিতে চেপে ধরেছিলেন। শুধু তাই
নয়, হত্যায় অংশ নেয়া তিন সহযোগী পুরুষের জন্য বোরকা ও হাতমোজা তিনিই
সংগ্রহ করেন।
কামরুন নাহার মণি সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল হকের মেয়ে। ৯ এপ্রিল নিজ বাড়ি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নুসরাত জাহান রাফির
শ্লীলতাহানি করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। ওই ঘটনায় মামলা করেন
নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের পর মামলা তুলে নিতে
নুসরাত ও তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিতে থাকে অধ্যক্ষের সহকারীরা।
মামলা তুলে না নেয়ায় ৬ এপ্রিল মাদরাসার
পাশের সাইক্লোন সেন্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নুসরাত জাহান রাফির
শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পাঁচ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। ওই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের
করা মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১০ এপ্রিল মামলার তদন্তভার নেয়
পিবিআই। ২৯ মে তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন
পিবিআই'র ওসি মো. শাহ আলম। ১৬ আসামির মধ্যে সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন ১৬৪
ধারায় জবানবন্দি দেন।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়