Sunday, September 29

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর!

২০১৪ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারি চাকুরিজীবীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার এল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও একটি সুখবর। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হচ্ছে পূর্বানুমতি ব্যতিত সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেপ্তার না করতে পারা আইন।
সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ের একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে। কিন্তু একই মামলয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে সরকার বা নিয়োগ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবে। বহুল আলোচিত এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে এটি ইতিমধ্যে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস’ ফর বাংলাদেশ। আইনটি কার্যকর হলেই আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সংগঠনসংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এই আইন সরকারি চাকরিজীবীদের ছাড় দেয়ার জন্য করা হয়েছে কিনা, এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কাউকে ছাড় দেয়ার জন্য আইনটি করা হয়নি। তা ছাড়া কেউ অপরাধ করলে দুদক আইনসহ নানা ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা তো রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের দিকে ‘সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে সরকারি কর্মচারী আইন নামে এটি প্রণয়ন করতে অনুশাসন দেন। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে। পরে আইনটির নাম বদল করে রাখা হয় সরকারি চাকরি আইন।
তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) শুরু থেকেই আইনটির নামসহ কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৩ জুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি বলেছে, সরকারি চাকরি আইন নামটিই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আইনের নাম হওয়ার কথা জনপ্রশাসন আইন। সংস্থাটির মতে, আইনে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব কর্তৃত্ব সরকারের কাছে রাখা হয়েছে, যা ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী’—এই সাংবিধানিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এখন সময়ই বলে দিবে চালুকৃত এই আইনটি কী বহাল থাকবে নাকি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার চাপে পড়ে তা বাতিল করা হবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়