Tuesday, September 3

‘মিন্নি সবকিছু গুছিয়ে রাখিস’

বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাথে জড়িত আরও ৬ আসামিকে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে হাজিরের জন্য একটি প্রিজন ভ্যানে করে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে প্রথমে ১৩ পুরুষ অভিযুক্তকে আনা হয়। এরপর একই ভ্যানে করে রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে আদালতে যাওয়ার পথে মিন্নির সঙ্গে দেখা হয় তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের। এ সময় মিন্নিকে তার বাবা কিশোর বলেন, ‘মিন্নি সবকিছু গুছিয়ে রাখিস।’
এ সময় মিন্নি তার বাবাকে বলেন, ‘তুমি যাওয়ার সময় জামা কাপড় নিয়ে যাইয়ো।’
এর আগে গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের পাশে রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। সেসময় নানাভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেনি রিফাত। ওই ঘটনার একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে তা ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর আঘাত করছে।
নৃশংস এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তাতে বরগুনা শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগী রিফাত ফরাজী ও তার ছোট ভাই রিশান ফরাজীসহ ১২ জনকে আসামি এবং আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। হত্যাকান্ডে প্রধান আসামী নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ ক’জন আসামি।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়