Thursday, August 29

কানাইঘাটে আটক রোহিঙ্গাদের গন্তব্য ছিল ভারত!

নিজস্ব্ প্রতিবেদক: 
কানাইঘাটে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১৪ রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গা কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকতে চেয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।

জানা গেছে, বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার দর্পননগর মমতাজগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। তন্মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। তাদের সাথে এক দালাল ও মাইক্রোবাস চালককেও আটক করা হয়।

আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন- ফরিদ মিয়া (৫০), ছালেহা বেগম (৩৫), মীর জাহেদ (১২), মুজিবুল হক (৮), জাবুল হক (৪), আজিজুল হক (৩), মো. ওয়ারেজ (২৮), দেনোয়াজ বেগম (২৬), তছলিমা (৪), মস্তকিমা (০৩), মমতাজ বেগম (১৮), মো. শফিক (২৭), সৈয়দ আলম (৩০), কামাল হোসেন (৩০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে।

এছাড়া তাদের সাথে আটককৃত দালাল হলেন কিশোরগঞ্জের মো. নুরুল্লাহ (২৪) এবং মাইক্রোবাস চালক কানাইঘাটের নারাইনপুর গ্রামের তজল্লুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালিক (২৩)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃত রোহিঙ্গারা কক্সবাজার জেলার একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় ক্যাম্প থেকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার (২৭আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে কুমিল্লায় আসে। পরে তারা ট্রেনে করে মঙ্গলবার রাতেই সিলেট কদমতলী বাস টার্মিনালে নামে। সেখান থেকে মো. নুরুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে তাদেরকে রাত আড়াইটার দিকে কানাইঘাটে নিয়ে আসেন। গভীর রাতে একটি মাইক্রোবাস ভর্তি লোকজন দেখে সড়কের বাজার এলাকায় টহলরত থানা পুলিশের এসআই আবু কাউছার এগিয়ে যান। কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তাদেরকে আটক করেন তিনি।

থানায় কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে আলাপকালে তারা বলেন, প্রায় ৭ মাস পূর্বে মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে কক্সবাজারের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ভারতে একটি রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রে থাকায় তারা কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। একজন দালাল সেখান থেকে তাদেরকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করছিল। তবে দালালের পরিচয় তারা বলতে পারেন নি।

থানার এসআই আবু কাউছার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ১৪ রোহিঙ্গাকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এনেছিল নুরুল্লাহ। এ ঘটনার পিছনে আরো কোন দালাল জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, আটক রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আটক দালাল ও মাইক্রোবাস চালকের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। 

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/২৯ আগস্ট ২০১৯

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়