২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত যারা এখনো বিচারের বাইরে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যা ১৫ আগস্ট ৭৫
থেকে ২১ আগস্ট ২০০৪ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও গণমাধ্যম বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি
এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) এ আলোচনা সভার
আয়োজন করা হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা শহীদ হয়েছেন
তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক
ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী অসুস্থ থাকায় আলোচনা সভায় সাড়ে
তিন ঘণ্টা দেরিতে আসেন এবং কথা বলতে না পারার কারণে, সাংবাদিকদের জন্য
লিখিত বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মো.
সাইফুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাঙালি
জাতিসত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সাল থেকে।
পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ১৪ আগস্ট। আগস্ট মাস থেকেই শুরু হয় বাঙালি
জাতিকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র। আমরা অনেকগুলো আগস্ট দেখেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫
আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ১৭ আগস্ট একই সঙ্গে
বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে
পরিণত করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল এবং জঙ্গিবাদ উত্থানের ষড়যন্ত্র করা
হয়েছিল। সর্বশেষ ২১ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে
নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে যে ষড়যন্ত্র শুরু
হয়েছিল সে ষড়যন্ত্র এখনো আছে। ১৯৭৫ সালে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আকাশের মত বিশাল এক মানুষ ছিলেন শেখ মুজিবুর
রহমান। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে
হারিয়েছি। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রে বঙ্গমাতাসহ ২৬ জনকে
হারিয়েছি। এই গ্লানি, এই লজ্জা আজও ভুলতে পারি না। আজও আমাদের কলঙ্কিত করে
রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের
সম্পূর্ণ বিচার চাই। ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিচার চাই। সম্পূর্ণ
বিচার ছাড়া ওই শক্তিকে নিঃশেষ করা যাবে না। এই হত্যা কাণ্ডগুলো রাষ্ট্রীয়
পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছিল। পৃষ্ঠপোষকতায় যারা অংশগ্রহণকারী তাদের চিহ্নিত
করে বিচার করা হোক। তাদের অনেকেই এখনো জীবিত আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪০ বছর
পর যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এখনো চলছে। বিশ্বাস করি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিল তাদের বিচারের আওতাই আনা
সম্ভব। এই বিচার যেদিন বাংলার মাটিতে সম্পূর্ণ হবে। সেদিন বঙ্গবন্ধুর আত্মা
শান্তি পাবে।
বিজেআরএফ সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার
সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি সদস্য বলরাম
পোদ্দার, এমপি জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক বেগম শামসুন নাহার
ভূঁইয়া,প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ উপজেলা
অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো.হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার প্রমুখ।
সূত্র:
ডেইলি বাংলাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়