Sunday, August 4

যে চায়ের সুনাম বিশ্বজুড়ে

 
চা ছাড়া বাঙালির চলেই না। এক কাপ চা না হলে সকালটাই শুরু করতে পারেন না অনেকে। সকালের দৈনিক পত্রিকা কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়ার সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপটা লাগবেই। চায়ের চুমুকে আলোচনা শুরু করা যাক নানান দেশের নানান বিখ্যাত চা নিয়ে।

চায়ের শুরু চীনে। দেশটির চায়ের সংস্কৃতি কয়েক হাজার বছরের। এ কারণেই চীনা চা বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। এ ছাড়াও বাজারে তাইওয়ানের ব্ল্যাক টি সানমুন লেকও বেশ জনপ্রিয় এর মধু, দারুচিনি, ফুল, পিপারমিন্ট স্বাদের জন্য। তিব্বতি চা মূলত আলাদা কোনো চা নয়। তিব্বতের আশপাশের এলাকায় উৎপন্ন চা মাখন দিয়ে পরিবেশন করা হয় বলেই ‘তিব্বতি চা’ বলা হয়।
দার্জিলিংয়ের চা পৃথিবী বিখ্যাত। তুলনাহীন রঙ ও স্বাদের কারণে বিশ্ববাসীর কাছে একনামে পরিচিত ‘দার্জিলিং চা’। ইউরোপ-আমেরিকার মানুষ এক কাপ ধোঁয়া ওঠা এই চায়ে চুমুক দিতে মুখিয়ে থাকেন। পাতলা চা-পাতা, চায়ের ফুলের অসাধারণ গন্ধ তাতে নতুন স্বাদ এনে দেয়। মূলত আবহাওয়া আর প্রতিকূল অবস্থানের জন্যই এই চায়ের এত সুনাম আর দাম। দার্জিলিং চা ছাড়াও ভারতের কেরালা, হিমাচল ও তামিলনাড়ুতেও প্রচুর চায়ের চাষ হয় যেগুলো মান্নার, কাংরা ও নীলগিরি নামে পরিচিত।
দার্জিলিং চা
দার্জিলিং চা
ভারতবর্ষে চায়ের প্রচলন আসাম-অরুণাচলের আদিবাসীদের ভেতরেই কেবল সীমাবদ্ধ ছিল অনেককাল ধরে। সে সময় থেকেই আসামের চায়ের ‘কড়া’ সুনাম ছিল। অন্যান্য জায়গায় চা ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছ থেকে এলেও ‘আসাম চা’ ক্যামেলিয়া আসামিকা গাছ থেকে তৈরি হয়। যদিও বাংলাদেশেও এই গাছ থেকেই চা উৎপন্ন হয়। আসাম চায়ের রহস্য এর বড় দানা আর স্ট্রং মল্ট ফ্লেভার। আসামের উপত্যকায় এ চায়ের চাষ হয়।
প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে শ্রীলঙ্কা বিখ্যাত সিলন টি উৎপাদন করে আসছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রে পোশাক শিল্পের পর এটাই দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি দ্রব্য। পৃথিবীর সেরা চাগুলোর একটি ধরা হয় ‘সিলন চা’কে। এই চা বিভিন্ন উচ্চতায় চাষ হয়ে থাকে। পরিবেশের তারতম্য অনুযায়ী এর দাম আর লিকারের রঙেও প্রভাব পড়ে। যেমন একটু উঁচু পাহাড়ি এলাকার চায়ে সোনালি রঙের হাল্কা লিকার হয়। আবার সমতলের কাছাকাছি যেসব চা হয়, তার লিকারের রং হয় রক্তাভ খয়েরি, স্বাদও বেশ কড়া। আর এই দুইয়ের মাঝামাঝি উচ্চতার চায়ের লিকার হয় খয়েরি ধরনের আর স্বাদও হালকা আর কড়ার মাঝামাঝি। 
চীন, তাইওয়ান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশে ভালো মানের চা উৎপাদন করা হয়। ভালো মানের ব্ল্যাক টি উৎপাদনের শীর্ষে রয়েছে কেনিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ককেশাস দ্বীপ, রামিয়া, সুমাত্রা দ্বীপ, মালেশিয়া, গুয়েতেমালা ও ইরান। তবে যত ভালো বা নিম্ন মানের হোক, জিনিসটির পরিচয় শুধুই ‘চা’।
 সৌজন্য: ডেইলি বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়