মুফতি হেলাল উদ্দীন হাবিবী::
দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় একটি আমল। দানশীল ব্যক্তির জানমাল
মহান আল্লাহর হেফাজতে নিরাপদ থাকে। দানের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর বন্ধুতে
পরিণত হন। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে মোমিনদের দানের প্রতি উৎসাহিত
করে অসংখ্য আয়াত নাজিল করেছেন। প্রিয়নবী (সা.) নিজে সর্বদা উদার মনে দান
করতেন এবং দানশীলদের জন্য বিভিন্ন সুসংবাদ প্রদান করেছেন। যুগে যুগে
আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম ও আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দারা দানশীলতার
যে অনুপম উপমা সৃষ্টি করে গেছেন, তা কাল থেকে কালান্তর মানব ইতিহাসে
অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
দানের ফজিলত সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতোÑ যা থেকে সাতটি শিষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শিষে একশ করে দানা থাকে। আর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তার জন্য আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী।’ (সূরা বাকারা : ২৬১)।
মহান আল্লাহ তায়ালা আরও এরশাদ করেন, ‘হে মোমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দান করেছি তা থেকে তোমরা দান কর, সেদিন আসার আগে, যেদিন থাকবে না কোনো বেচাকেনা, না কোনো বন্ধুত্ব কিংবা সুপারিশ। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত জালেম।’ (সূরা বাকারা : ২৫৪)।
দানের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রিয়নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় দান আল্লাহর ক্রোধকে প্রশমিত করে এবং অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি ও মেশকাত)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণও দান করে, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ওই দান নিজ কুদরতি ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা দানকারীর জন্য প্রতিপালন করেন, যেমনভাবে তোমাদের কেউ ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে। এমনকি তা (দান) পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।’ (বোখারি)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে (মুসলমান) ব্যক্তি কোনো বস্ত্রহীন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি কোনো ক্ষুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের ফলগুলো খাওয়াবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করায়, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন শরাব পান করাবেন যার ওপর মোহর লাগানো থাকবে। (আবু দাউদ)।
দানের মাধ্যমে সম্পদ কখনও হ্রাস পায় না বরং তা পবিত্র, নিরাপদ ও বর্ধিত হয়। দানশীল ব্যক্তির মর্যাদা আল্লাহর দরবারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ফেরেশতারা তার জন্য সর্বদা দোয়া করে। তাই আসুন, আমরা মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় এতিম, গরিব, অসহায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দানের হাত প্রসারিত করি।
দানের ফজিলত সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতোÑ যা থেকে সাতটি শিষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শিষে একশ করে দানা থাকে। আর আল্লাহ তায়ালা যাকে চান তার জন্য আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী।’ (সূরা বাকারা : ২৬১)।
মহান আল্লাহ তায়ালা আরও এরশাদ করেন, ‘হে মোমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দান করেছি তা থেকে তোমরা দান কর, সেদিন আসার আগে, যেদিন থাকবে না কোনো বেচাকেনা, না কোনো বন্ধুত্ব কিংবা সুপারিশ। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত জালেম।’ (সূরা বাকারা : ২৫৪)।
দানের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রিয়নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় দান আল্লাহর ক্রোধকে প্রশমিত করে এবং অপমৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি ও মেশকাত)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর পরিমাণও দান করে, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ওই দান নিজ কুদরতি ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা দানকারীর জন্য প্রতিপালন করেন, যেমনভাবে তোমাদের কেউ ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে। এমনকি তা (দান) পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।’ (বোখারি)।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে (মুসলমান) ব্যক্তি কোনো বস্ত্রহীন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি কোনো ক্ষুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের ফলগুলো খাওয়াবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করায়, মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন শরাব পান করাবেন যার ওপর মোহর লাগানো থাকবে। (আবু দাউদ)।
দানের মাধ্যমে সম্পদ কখনও হ্রাস পায় না বরং তা পবিত্র, নিরাপদ ও বর্ধিত হয়। দানশীল ব্যক্তির মর্যাদা আল্লাহর দরবারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ফেরেশতারা তার জন্য সর্বদা দোয়া করে। তাই আসুন, আমরা মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় এতিম, গরিব, অসহায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দানের হাত প্রসারিত করি।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়