Thursday, June 27

জেনে নিন, কারা রক্ত দেবেন আর কারা দেবেন না!

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক

রক্ত দেয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকেই ভাবে রক্ত দিলে শরীরের ক্ষতি হয়। এই ধারণাটি ভুল। বরং রক্তদানের নানাবিধ উপকার আছে। রক্তদানের মাধ্যমে অন্যের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখা যায়। গবেষণা বলছে, নিয়মিত রক্তদানের ফলে কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। রক্ত দেয়ার ফলে নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরির হার বাড়ে। রক্ত দিলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, আবার রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত হয়। দেহে হেপাটাইটিস বি, সি, এইচআইভি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়ার জীবাণু আছে কি না রক্তদান উপলক্ষে অনেকেরই তা জানা হয়ে যায়। তবে কারা রক্ত দিতে পারবে আর কারা পারবে না তা জানা প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই সম্পর্কে কিছু তথ্য-    

কারা রক্ত দিতে পারবেন
১. ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন।
২. যাদের ওজন ৫০ কেজি বা তার বেশি (কখনো সর্বনিম্ন ওজন ৪৫ কেজিও ধরা হয়)।
৩. কোনো ব্যক্তি একবার রক্ত দেয়ার ৪ মাস পর আবার রক্ত দিতে পারবেন।
কারা রক্ত দেবেন না
১. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম (পুরুষদের ন্যূনতম ১২ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীদের ন্যূনতম ১১ গ্রাম/ডেসিলিটার হতে হবে) থাকলে।
২. রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক না থাকলে রক্ত দেয়া ওই মুহূর্তে উচিত নয়।
৩. শ্বাস–প্রশ্বাসজনিত রোগ, যেমন হাঁপানি বা অ্যাজমা।
৪. রক্তবাহিত রোগ যেমন, হেপাটাইটিস বি বা সি, জন্ডিস, এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি থাকলে রক্ত দেয়া যাবে না। তাছাড়া টাইফয়েড, ডায়াবেটিস, চর্মরোগ, বাতজ্বর, হৃদরোগ থাকলেও রক্ত দেয়া উচিত নয়।
৫. নারীদের মধ্যে যাঁরা অন্তঃসত্ত্বা ও যাদের ঋতুস্রাব চলছে তারা রক্ত দিতে পারবে না। এমনকি সন্তান জন্মদানের এক বছরের মধ্যেও না।
৬. যারা কিছু ঔষধ সেবন করছেন। যেমন- কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি তারা সে সময় রক্ত দিতে পারবে না।
৭. যাদের বিগত ৬ মাসের মধ্যে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অস্ত্রোপচার হয়েছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়