Friday, June 14

চালু হচ্ছে ফাইভ-জি

ডেস্ক নিউজ:
পঞ্চম প্রজন্ম (ফাইভ-জি) ইন্টারনেট সেবা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকাল তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ফাইভ-জি চালু হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, জনগণের কাছে বর্তমান সরকারের প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। সরকার এ দিক থেকে অনেক দূর এগিয়েছে। এরইমধ্যে ফোর-জি চালু হয়েছে। শিগগিরই ফাইভ-জি চালু হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ফাইভ-জি চালুর সব প্রক্রিয়া সরকার হাতে নিয়েছে। সরকার জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এতদিন জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পরদিন বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার রেওয়াজ ছিল অর্থমন্ত্রীর। তবে প্রথমবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অসুস্থ অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে উপস্থিত হয়ে নিজের প্রথম বাজেট পেশ করেন। যদিও বক্তৃতা শুরু করে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। এ কারণে তার অসম্পূর্ণ বক্তৃতা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এটি দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ বাজেটের মোট অর্থের প্রায় ৬৪ ভাগ ব্যয় হবে পাঁচটি খাতে।
এবারের বাজেটে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত জনপ্রশাসন। এ খাতে ব্যয় হবে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বা প্রায় ৯৬ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এরপরই রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত। এতে মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৭৯ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা হয়েছে। তৃতীয় বড় খাত বিভিন্ন সুদ। সুদে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৫৭ হাজার ২৮ কোটি টাকা। চতুর্থ বড় খাত পরিবহন ও যোগাযোগ। এতে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ৬৪ হাজার ৮৭৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। পঞ্চম বড় খাত স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন। এ খাতে মোট বাজেটের ৭ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৩৭ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
কৃষিতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ২৫ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা খাতে ৬ দশমিক ১ শতাংশ বা প্রায় ৩১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা প্রায় ২৯ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। জনশৃংখলা ও নিরাপত্তা খাতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ২৭ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
গৃহায়ন খাতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে দশমিক ৭ শতাংশ বা প্রায় ৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এছাড়াও বিবিধ ব্যয়ের জন্য দশমিক ২ শতাংশ বা এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়