Wednesday, May 8

কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে জবাই করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক। 

পুলিশ স্ত্রীকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীর সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের দু’দিন পর বুধবার(০৮মে) ভোরে সেফটিক ট্যাংকির ভিতর থেকে স্বামী ফারুক আহমদ (৩০) এর লাশ উদ্ধার করে ।

এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে গত রবিবার(০৫মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ২য় খন্ড গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক আহমদের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী হোসনা বেগম (২৮) এর সাথে তার স্বামীর চাচাতো ভাই প্রতিবেশী মোস্তফা (২৭) এর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

স্ত্রীর হোসনা বেগমের পরকীয়ায় বাঁধা দেন স্বামী ফারুক আহমদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী হোসনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা, ফারুককে খুন করার পরিকল্পনা করে।

গত রবিবার গভীর রাতে ফারুক আহমদ যখন তার নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন, তখন স্ত্রী হোসনা বেগম, প্রেমিক মোস্তফা ও তাদের সহযোগীরা মিলে বসত ঘরের একটি কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করে ফারুককে। 

হত্যা করার পর তার রক্তাক্ত লাশ পাশ্বর্বর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক আহমদের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে।

ফারুক আহমদের কোন সন্ধান না পেয়ে তার স্বজনরা স্ত্রী হোসনা বেগমকে ফারুক কোথায় রয়েছে জানতে চাইলে সে বলে, গত রবিবার ভোরে উঠে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন, তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। 

ফারুককে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ফারুক আহমদের চাচা সমছুল হক কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করতে আসলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক ফারুক আহমদের বাড়িতে পুলিশ পাঠান।

থানার এস.আই সুরঞ্জিত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারুক আহমদের বসত ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার বিছানার খাঁটের উপর রক্তের দাগ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, ঘরের মেঝেতেও রক্তের দাগ ও পায়ের চিহ্ন পেয়ে তিনি তার স্ত্রী হোসনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

থানায় নিয়ে আসার পর হোসনার জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে থানার ওসি আব্দুল আহাদ সহ একদল পুলিশ আজ বুধবার ভোরে জবাইকৃত ফারুক আহমদের লাশ সেফটিক ট্যাংকির ভিতর থেকে উদ্ধার করেন।

থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, ফারুক আহমদকে তার স্ত্রী হোসনা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মোস্তফা মিলে জবাই করে হত্যা করেছে। স্ত্রী হোসনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মোস্তফা সহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে। স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে তিনি জানান। থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/০৮মে ২০১৯ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়