Thursday, May 30

বিশ্বকাপের যত রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক::
বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত ক্রিকেটের তীর্থভুমি ইংল্যান্ড। ঘণ্টা দেড় পরে শুরু হবে সবুজ মাঠে বল-ব্যাটের লড়াই। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে দ্বাদশতম ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসরটি।
বছর, মাস ও দিন পেরিয়ে এখন মাত্র আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩ টায় ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে।
সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন: এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ হয়েছে ১১টি। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অজিরা ঘরে শিরোপা তুলেছে ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১৫ সালে।
টানা সবচেয়ে বেশি জয়: ১৯৯৯ সালের ফাইনাল থেকে শুরু করে ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
টানা সবচেয়ে বেশি হার: ১৯৮৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩ রানে হারানোর ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ে জয় পেয়েছিল। এই সময় ১৮টি ম্যাচ খেলেছিল তারা।
দলীয় সর্বোচ্চ রান: ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটে ৪১৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ১৩৩ বলে ১৭৮ রান করেছিলেন।
রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার: বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান হয়েছিল যে ম্যাচে সেই ম্যাচেই সবচেয়ে বড় হারের ঘটনাটি ঘটে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের ঐ ম্যাচে আফগানরা হারে ২৭৫ রানে।
দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ
২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল কানাডা।
উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার
বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে হারের ঘটনা আছে ১১ট। এর মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ তিনবার এমন হারের লজ্জায় পড়েছিল। এছাড়া কেনিয়া ও জিম্বাবুয়ে দুইবার করে ১০ উইকেটে হেরেছে।
সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানে জয়
১৯৮৭ সালে ভারতকে ১ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া, ১৯৯২ সালেও ভারতকে ১ রানে হারিয়েছিল অজিরা।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়
এখানে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে আছে। পেসার তালহা জুবায়ের ২০০৩ বিশ্বকাপে মাত্র ১৭ বছর ৭০ দিন বয়সে খেলতে নেমিছেলেন বিশ্বমঞ্চে।
এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান
১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ড আর পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে মোট অতিরিক্ত রান হয়েছিল ৯৬টি। এর মধ্যে স্কটিশরা মিস্টার এক্সট্রা দিয়েছিল ৫৯ (৫ বাই, ৬ লেগ বাই, ৩৩ ওয়াইড, ১৫ নো বল)। কম যায়নি পাকিস্তান, দিয়েছিল ৩৭টি অতিরিক্ত রান (১ বাই, ১১ লেগ বাই, ১৭ ওয়াইড, ৮ নো বল)।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচে আম্পায়ার
ইংল্যান্ডের ডেভিড শেফার্ড সর্বোচ্চ ৪৬ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং সাবেক দলপতি রিকি পন্টিং ৩৯টি করে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলেছেন।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ
নিউজিল্যান্ডের সাবেক দলপতি স্টিফেন ফ্লেমিং বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৬ ম্যাচ।
টানা ৪৬ দিনে ৪৮ ম্যাচের এ বিশ্বকাপের ফাইনালের মধ্যদিয়ে পর্দা নামবে ১৪ জুলাই, লর্ডসে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়